কানা সেতু সারাতে গিয়ে ‘ছিন্ন’ কান্দি

ভারী যানবাহনের কান্দি প্রবেশের পথে প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে গেল। মুর্শিদাবাদের ওই প্রাচীন শহরে প্রবেশ পথে রয়েছে, কানাময়ূরাক্ষী নদীর উপর সংস্কারহীন একটি সেতু। লোকে বলে, ‘কানা সেতু’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৬
Share:

মেরামত: সেতু সারানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা বড় যান চলাচলে। —নিজস্ব চিত্র।

ভারী যানবাহনের কান্দি প্রবেশের পথে প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে গেল। মুর্শিদাবাদের ওই প্রাচীন শহরে প্রবেশ পথে রয়েছে, কানাময়ূরাক্ষী নদীর উপর সংস্কারহীন একটি সেতু। লোকে বলে, ‘কানা সেতু’।

Advertisement

দিন কয়েক আগে, পূর্ত দফতর সেই সেতুর সংস্কার শুরু করায় কান্দি শহরে যানবাহন প্রবেশের পথেই ফতোয়া পড়ে গিয়েছে। ফলে, শহরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে দূরপাল্লার বাস— ঢুকতে না পারায় কার্যত জেলা থেকে ‘ছিন্ন’ হয়ে গিয়েছে কান্দি।

কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর কান্দি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ওই নদীর সেতুটি বছর সাতেক ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থা। সেই সংস্কারে হাত পড়ায় এখন উল্টো বিপত্তি কান্দিতে। পূর্ত দফতরের ডিভিশনার ইঞ্জিনিয়ার হাসানুজ্জামান বলেন, ‘‘সংস্কারে সময় লাগবে দেড় থেকে দু’মাস।’’ তবে, ততদিনে বর্ষা চলে এলে কাজ আরও পিছিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর ফলে, প্রমাদ গুনতে শুরু করেছে, কান্দির ব্যবসায়ী থেকে পাইকারি বাজারের কারবারি, কলেজ পড়ুয়া থেকে নিত্যযাত্রী, সকলেই।

Advertisement

কান্দিতে ব্যবসা করতে আসেন, বড়ঞা, ভরতপুর, খড়গ্রাম ছাড়াও লাগোয়া বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের বহু মানুষ। পণ্যবাহী যানবাহন না ঢুকতে পারায় ব্যবসা বিশ বাঁও জলে। গত দু’দিন ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসের প্রবেশও। ফলে, নিত্যযাত্রীদের চলাচলও থমকে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত শহরের পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে না দিলে শহরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সমস্যা দেখা যাবে। যদিও ব্যবসায়ীদের ওই আর্জি মানতে চায়নি পুলিশ। তাদের দাবি শহরে পণ্যবাহী যানবাহন প্রবেশ হলে তাতে যানজট হওয়ার প্রবল সমস্যা। ভারী যানবাহন যাতায়ত করলে রাস্তার নীচে জলের পাইপ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন তারা।

কান্দির মহকুমাশাসক অভীক দাস অবশ্য এ ব্যাপারে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুরসভার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে, সে বৈঠকে সমস্যা মেটার কোনও স্পষ্ট সমাধান বেরোয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন