গুলিবিদ্ধ ছাত্র। নিজস্ব চিত্র।
গয়েশপুরে একাদশ শ্রেণির ছাত্রটিকে কে গুলি ছুড়ল— তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না শনিবার।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় কার্তিক কুন্ডু নামে ওই কিশোর কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে, ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা পরেও এ ব্যাপারে কুয়াশা কাটাতে পুলিশের তৎপরতাও তেমন চোখে পড়েনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের রুটিন মাফিক জেরা করলেও গয়েশপুরের সগুনার মাঠে ওই দিশি ওয়ান শটারটি কী করে এল, তার কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। যা দেখে, বিরোধীদের দাবি, সগুনা যে ক্রমেই দুষ্কৃতীদের খোলা ময়দান হয়ে উঠছে, একাদশ শ্রেণির ছাত্রের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রই তার প্রমাণ।
কার্তিকের পরিবার গয়েশপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। তার বাবা কালীসাধন কুন্ডু বিভিন্ন দোকানি বিস্কুট-পাঁউরুটি বিক্রি করেন। নতুন এলাকায় এসে, কার্তিক ভর্তি হয়েছিল নেতাজি বয়েজ স্কুলে।
কালীসাধনবাবু জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় কার্তিককে ওষুধ কিনতে পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। সাতটা নাগাদ সে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বেরিয়ে ছিল। তিনি বলেন, ‘‘সাড়ে দশটা নাগাদ ওর এক বন্ধু ফোন করে খবর দেয়, গুলি লেগেছে কার্তিকের। আমরা কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাই।’’ তাঁর দাবি, ছেলের বন্ধুদের কাছে তিনি শুনেছেন, পাশের ঝোঁপে পড়ে থাকা ওয়ান শটারটি নেড়ে ঘেঁটে দেখার সময়েই বিপত্তি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, কার্তিককে জখম অবস্থায় হাসপাতালে আনার পর থানায় খবর আসে। কার্তিক কথা বলার মতো অবস্থায় থাকলেও সে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি। আহত বলে তার কাছে এখনই পুরো ঘটনা জানতে চায়নি পুলিশও। তবে, কার্তিকের বন্ধু এবং তাঁর চলাফেরা নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা বেশ বিরক্ত। সে নিয়মিত স্কুলেও যায় না বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের ধারণা, আগ্নেয়াস্ত্র খুঁজে পাওয়ার কথা নিছক বানানো।
তবে সগুনা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র যে সহজলভ্য, তা আরও একবার সামনে এল। বছরখানেক আগে এখানেই স্কুল চত্বর থেকে তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছিল। স্কুল সংলগ্ন একটি ক্লাবে মিলেছিল রীতিমতো অস্ত্র ভান্ডার। শুক্রবার রাতের ঘটনাকে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি মনে করছেন স্থানীয়েরা।