পৃথিবীটা আচমকা উল্টে গেল

খেলা দেখে ঠিক সময়েই বাড়ি ফিরে যাব বলে বাড়িতে জানাইনি যে খেলা দেখতে যাচ্ছি। দিনের শেষে আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে। মাথার পাশে বসে মা।

Advertisement

জাহির আব্বাস খাঁ

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৭ ০০:৫১
Share:

না, কালো বেড়াল রাস্তা কাটেনি। এক শালিখও চোখে পড়েনি। অন্য দিনের মতোই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতেই সাড়ে দশটাতেই পৌঁছে গিয়েছিলাম স্কুলে। তখনও বুঝতে পারিনি যে, খানিক পরে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে। খেলা দেখে ঠিক সময়েই বাড়ি ফিরে যাব বলে বাড়িতে জানাইনি যে খেলা দেখতে যাচ্ছি। দিনের শেষে আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে। মাথার পাশে বসে মা।

Advertisement

মঙ্গলবার আম্তঃ স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টে আমাদের তরণীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সঙ্গে পাশের গ্রাম পাথরঘাটা সাহাবুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলা ছিল তেহট্ট হাই স্কুল মাঠে। পলাশিপাড়া রুটের বাসটি আসতেই হুড়মুড় করে ছাদে উঠে গিয়েছিলাম। সামনে একটা বাস যাচ্ছিল। আমাদের বাসটা বেশ জোরে চলছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরে আচমকা একটা ঝাঁকুনি। একটা হ্যাঁচকায় বাসটা কাত হয়ে গেল। পৃথিবীটা যেন উল্টে গেল। তার পরে আর কিছু মনে নেই। কতক্ষণ জ্ঞান ছিল না জানি না। যখন চোখ খুললাম, চারদিকে শুধু জল আর মানুষের আর্তনাদ। কোনও রকমে উঠে দাঁড়ালাম। বুঝলাম হাত-পা অক্ষত থাকলেও, গায়ে খুব যন্ত্রণা। নয়ানজুলি থেকে পাড়ে উঠতেই, কয়েকজন ধরে একটা টোটোতে তুলে দিল। দেখলাম সেই টোটোতে আমারই স্কুলের আরও দু’জন বসে। সবার চোখে-মুখে আতঙ্ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement