উপনির্বাচন ২৫ নভেম্বর, তোড়জোড়

শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতেও ভোটের জন্য নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ঘোষিত হল করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের দিন। গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, ৭৭ করিমপুর, ৩৪ কালিয়াগঞ্জ ও ২২৪ খড়গপুর সদর—এই তিনটি কেন্দ্রে আগামী ২৫ নভেম্বর ভোট হবে। ভোট গণনা হবে ২৮ নভেম্বর। গত লোকসভা ভোটে করিমপুরের বিধায়ক তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর এই কেন্দ্রে বিধায়ক পদ খালি হয়। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।

Advertisement

শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে নদিয়ার জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতেও ভোটের জন্য নাকা চেকিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”

এই বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘ ৩৯ বছর বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালের পরিবর্তনের ঝড়ের মধ্যেও এই কেন্দ্রে বাম বিধায়ক সমরেন্দ্রনাথ ঘোষ জয়ী হন। ২০১৬ সালের বিধানসবা ভোটে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে ১৫৯৯৮ ভোটে পরাজিত করেন। তৃণমূলের করিমপুর ১ ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা বলেন, ‘‘গত তিন বছরে এলাকার বিধায়ক মানুষের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছেন। লোকসভা ভোটেও করিমপুর বিধানসভায় বিজেপির থেকে সাড়ে চোদ্দো হাজার ভোটে তৃণমূল এগিয়ে ছিল। এ বারের উপনির্বাচনেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং ভোটের মার্জিনও বাড়বে।’’

Advertisement

বিজেপির নদীয়া জেলা উত্তরের সভাপতি মহাদেব সরকার আবার পাল্টা দাবি করেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নে শামিল হতে দলে দলে মানুষ বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন। করিমপুরের মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃনমূলের সন্ত্রাস আর হিংসার কথাও ভুলে যাননি। বিজেপি করিমপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন করতে পেরেছে। এ বারের ভোটেও এলাকার মানুষ তৃণমূলকে জবাব দেবেন।’’ সিপিএমের করিমপুর এরিয়া কমিটি সম্পাদক আসাদুল খানের কথায়, ‘‘উপ-নির্বাচনে সিপিএমের ভোটের হার বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন