তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার রাউতাড়ি এলাকায়।—নিজস্ব চিত্র।
যে আসনে ভোট হচ্ছে, সেই আসনের হার-জিতে পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় হেরফের হবে না। তবে পঞ্চায়েত দখল এলেও ওই আসনে জয় পায়নি শাসক দল। তাই চাকদহের রাউতাড়ি পঞ্চায়েতের মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি আসনে উপনির্বাচন হলেও সেটাকে হালকা ভাবে নিচ্ছেন না শাসক দলের স্থানীয় নেতারা। কংগ্রেসের ঘাঁটিতে থাবা বসাতে মরিয়া তৃণমূল ওই আসন ধরে রাখতে দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যকে দাঁড় করিয়ে ময়দানে নেমেছে। নানা বিষয়কে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে কংগ্রেস-সিপিএমের প্রার্থীরাও।
আগামী ৩ অক্টোবর রাউতরি পঞ্চায়েতেও নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৫। তার মধ্যে তৃণমূলের ১১, আরএসপি-বিজেপি এবং সিপিএমের একটি করে আসন রয়েছে। আর একটি আসনে উপনির্বাচন রয়েছে।
যে আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে গত ভোটে সেখান থেকে জিতেছিলেন কংগ্রেসের জুলফিকার মণ্ডল। তিনি তৃণমূলের হারুণ-অল-রসিদ মণ্ডলকে ৬১ ভোটে হারান। সিপিএম ছিল তৃতীয় স্থানে। পরে জুলফিকার তৃণমূলে যোগ দেন। মাস ছয়েক আগে তাঁর মৃত্যুতে আসন খালি হয়। ফলে এই উপনির্বাচন।
এ বার ওই আসনের লড়াইয়ে তৃণমূল ছাড়াও রয়েছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য মনে করছেন আসল লড়াইটা হবে কংগ্রেস-তৃণমূলে। শাসক দলের হারুণ-অল-রসিদ, কংগ্রেসের রামচন্দ্র ঘোষ এবং সিপিএমের রবজেল মোল্লা প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেকেই গ্রামে প্রচার শুরু করেছেন। চলছে ছোট ছোট সভা, পথসভা। এ ব্যাপারে একটু হলেও পিছিয়ে সিপিএম। ভোটের দিন পাঁচেক আগেও দলের ব্যানার বা ফেস্টুন চোখে পড়ল না!
কংগ্রেস প্রার্থী রামচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘২০০৩-২০১৩ সাল পর্যন্ত পাশের গ্রামে তৃণমূলের সদস্য ছিলাম। তৃণমূলের কাজে বিরক্ত হয়ে সরে এসেছি।’’ জেতার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। কংগ্রেস নেতাদের মত, গতবার দলের প্রতীকে লড়ে জয়ী প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। এটা সাধারণ মানুষ ভাল ভাবে নেননি। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের আমলে শুরু হওয়া নানা নেতিবাচক কাজের প্রভাব ভোটে পড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা। তৃণমূল প্রার্থী হারুণ-অল-রসিদ মণ্ডল জেতার ব্যাপারে নিঃসংশয়। তিনি মনে করেন, কংগ্রেস এলাকায় প্রার্থী পায়নি বলেই বাইরের লোককে দাঁড় করিয়েছে। ভোটে জিতে স্থানীয় সমস্যা মেটানোয় জোর দেবেন বলে জানিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী রবজেল মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘আগে কেউই এলাকায় রাস্তাঘাট, পানীয় জলের সমস্যা মেটানোয় উদ্যোগী হননি।’’ তিনি সে সব দিকে নজর দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।