দুর্ঘটনাগ্রস্ত: সেতুর নীচে গাড়ি।
সেতুর রেলিং ভেঙে জলঙ্গি নদীর জলে পড়ল যাত্রী বোঝাই গাড়ি। চালক-সহ চার জন গুরুতর জখম হয়েছে। তাঁরা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার সকালে কৃষ্ণনগর শহরের আগে দ্বিজেন্দ্রলাল সেতুর ওই ঘটনায় যাত্রীরা বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, বহরমপুর থেকে ১৩ জন শ্রমিক ম্যাটাডোরে করে রানাঘাটে আসছিলেন। তাঁদের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানা এলাকায়। তাঁরা সকলেই ধানকাটার কাজ করেন। প্রতি বছরই ধানকাটার মরসুমে তাঁরা চলে আসেন রানাঘাট এলাকায়। রবিবার সকালে তাঁরা বহরমপুর স্টেশনে পৌঁছনোর আগেই রানাঘাটগামী ট্রেন ছেড়ে দেয়। তখন বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মাথাপিছু ২৫ টাকার ভাড়ার চুক্তিতে ওই ১৩ জন ম্যাটাডোরে উঠে পড়েন।
হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে গাড়ির চালক হালিশহরের বাসিন্দা পটল কর্মকার বলছেন, “গাড়ির গতি ছিল ৪০ থেকে ৪৫-এর মধ্যে। সামনে একটা লছিমন যাচ্ছিল। সেটাকে পাশ কাটাতে গিয়ে দেখি একেবারে সামনেই একটা দশ চাকার লরি। তখনই বাঁ দিকের রাস্তা ধরতে গিয়ে আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারিনি।”
প্রত্যক্ষদর্শী বাপ্পা দেবনাথ, কাঞ্চন বিশ্বাসরা বলছেন, ‘‘ঘাটেই স্নান করছিলাম। আচমকাই এমন ঘটনা। কোনও কিছু না ভেবে আমরাও সে দিকে সাঁতরে গিয়ে একে একে তাঁদের ডাঙায় টেনে তুলি।”
গাড়ির যাত্রী আবজাল হোসেন, জহুর শেখ বলছেন, ‘‘গাড়িটা জলে না পড়ে ডাঙায় পড়লে আর দেখতে হত না। জোর বেঁচে গিয়েছি মশাই।’’