স্কুলের গেট চাপা পড়ে মৃত্যু শিশুর

স্কুলের লোহার গেট ভেঙে মৃত্যু হল এক শিশুর। মৃতের নাম সীমা খাতুন (৭)। বাড়ি তেহট্টের বিনোদনগরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বিনোদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৬ ০১:৪৭
Share:

স্কুলের লোহার গেট ভেঙে মৃত্যু হল এক শিশুর। মৃতের নাম সীমা খাতুন (৭)। বাড়ি তেহট্টের বিনোদনগরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বিনোদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ দিন বিকেলে সীমা পাড়ার অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে প্রতিদিনের মতো ওই স্কুলের গেটের সামনে খেলছিল। আচমকা স্কুলের লোহার গেট ভেঙে তার গায়ের উপর পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর পাঁচেক আগে স্কুলের এই গেট তৈরি হয়। তখন খুব নিম্ন মানের কাজ হচ্ছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হয়। কিন্তু স্কুল সেই কথায় কেউ কান দেয়নি। সেদিন মানুষের কথা শুনলে আজ এমন দুর্ঘটনা ঘটত না।

Advertisement

বিনোদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যদুময় বিশ্বাস বলেন, “এ ভাবে একটি শিশুর মৃত্যু খুব দুঃখজনক। গেটের উপরের অংশ খারাপ থাকার জন্য কিছুদিন আগেই সারানো হয়েছিল। তারপরেও বাচ্চাদের ঝোলাঝুলিতে খুলে গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আর নিম্ন মানের কাজের অভিযোগ আমাকে কেউ জানায়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে নতুন ভাবে গেট নির্মাণ করা হবে। প্রাচীর তৈরির ব্যপারেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”

অন্য দিকে, একই দিনে হাঁসখালির কৈখালি আইসিডিএস কেন্দ্রের প্রাচীর ভেঙে পাঁচ জন শিশু আহত হয়েছে। সকলকে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে তাদের মধ্যে দু’জনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ও একজনকে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে এত বাচ্চারা পড়াশোনা করে সেখানে ভাল একটি ঘর নেই কেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার অভিভাবকরা। জবাবে হাঁস খালির সিডিপিও মহম্মদ সামিম বলেন, “জায়গার অভাবে ওখানে ঘর করা যায়নি। জায়গার খোঁজ চলছে। বিকল্প একটি জায়গা পেলেই ওই কেন্দ্রের নতুন ঘর তৈরি করা হবে।”

নাট্যোৎসব। নাটকের আসর বসছে কান্দিতে। বৃহস্পতিবার থেকে টানা চারদিন ধরে ওই নাট্যোৎসবের আয়জন করেছে কান্দির ‘কোরাস নাট্য গোষ্ঠী’। চার দিনে সাতটি নাটক মঞ্চস্থ হবে। শহরের তিনটি মঞ্চে চলবে উৎসব। কোরাস নাট্য গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “উৎসব ৩৭ বছরে পা রাখল। তিনটি পৃথক স্থানে মঞ্চ করে নাট্যোৎসব করা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement