মাঠে গুলিবিদ্ধ দেহ সিভিকের

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, মৃতের বাড়ি ছিল হাঁসখালি থানার ময়ূরহাট ১ পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মনপাড়া এলাকায়। বছর সাতেক আগে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাঁসখালি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

শ্রীকুমারের বাবা ও দিদি। ইনসেটে, শ্রীকুমার। —নিজস্ব চিত্র।

রাত আটটা নাগাদ ফোনটা এসেছিল। ‘একটু পরেই ফিরছি’ বলে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীকুমার শর্মা। কিন্তু ফেরা আর হয়নি। সোমবার সকালে শ্রীকুমার শর্মা (২৮) নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়। দেহটির কানের কাছে গুলির ক্ষত ছিল। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, মৃতের বাড়ি ছিল হাঁসখালি থানার ময়ূরহাট ১ পঞ্চায়েতের ব্রাহ্মনপাড়া এলাকায়। বছর সাতেক আগে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজে যোগ দেন। বাবা শিউকুমার শর্মা ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁরা এক ভাই, এক বোন। দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। মাধ্যমিক পাশ করার পরে শ্রীকুমার আর পড়াশোনা করেননি। কয়েক বছর আগে শিরদাঁড়ার সমস্যায় আক্রান্ত হন। অস্ত্রোপচারও করাতে হয়।

এই খুনের পিছনে পুরনো শত্রুতা থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। পরিকল্পনা করে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। পরিচিত কেউ এতে জড়িত রয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।।নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে শত্রুতার জেরেই এই খুন।” নিহত যুবকের আত্মীয় সুমন রায় বলেন, “আমাদেরও ধারণা পরিচিত কেউ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ছক কষে এই খুন করা হয়েছে।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নিহত শ্রীকুমারের বাবা শিউকুমার শর্মা বলেন, “রবিবার রাতে ছেলে বলে গেল যে, বাড়ি ফিরে এসে বিচালি কেটে দেবে। হঠাৎই একটা ফোন পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। পরে এক বার ওর মা ফোনে কথা বলে। তখনও জানিয়েছিল যে ফিরে এসে বিচালি কাটবে। কিন্তু তার পর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।”

সোমবার সকালে প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ স্থানীয় এক মহিলা মাঠে পাটশাক তুলতে গিয়ে শ্রীকুমারের দেহ দেখতে পান। তিনিই স্থানীয় বাসিন্দাদের খবর দেন। দেহটি বসানো অবস্থায় ছিল। ডান পা হাঁটুর থেকে ভাঁজ করা এবং বাঁ পা পিছনের দিকে ভাঁজ করা অবস্থায় ছিল। মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে মাটিতে ঠেকানো ছিল। কানের কাছে রক্ত ও গুলির দাগ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় সুনাম ছিল না নিহত যুবকের। নিয়মিত তিনি নেশা করতেন। কু-সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজে যোগ দেওয়ার পরেও তাঁর কোনও পরিবর্তন হয়নি। গত বছরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না-জানিয়ে অনুপস্থিত থাকার জন্য তাঁকে কিছু দিনের জন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন