ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট বয়স্ক বাবা-মা রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁরা বেলডাঙা থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় শেষমেশ প্রাণে বাঁচলেন। দুই সিভিক ভলান্টিয়ার আপ লাইন থেকে ওই দম্পতিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নওদার পরেশনাথপুরের ওই দম্পতি নাম ধীরেন মণ্ডল ও চরণ মণ্ডল। মণ্ডল দম্পতি তাঁদের মেয়ের ছেলেকে বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় কাঠা দুয়েক জায়গা দেন। এতেই গোঁসা হয় ছেলে নির্মল মণ্ডলের। অভিযোগ, নিয়ম মেনে সে বাবা-মাকে মারধর করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সোমবার সন্ধ্যায় ওই দম্পতি বেলডাঙা স্টেশনের কাছে লাইনে গলা দিতে যান। তখন সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন বেলডাঙা থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার— আসরাফুল ও সুরজ শেখ। আপ ট্রেন তখন দ্রুত বেগে এগিয়ে আসছে। মণ্ডল দম্পতি লাইনের কাছে চলে গিয়েছেন। আসরাফুল ও সুরজ তাঁদের লাইন থেকে টেনে নিয়ে আসেন। নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পুলিশ তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
পরে বেলডাঙা থানার পুলিশ তাঁদের নওদায় পাঠায়। ওই দিনই পুলিশ ওই দম্পতির ছেলেকে থানায় ডেকে পাঠায়। পুলিশের কাছে সে ভুল স্বীকার করে বলে, ‘‘ভুল করেছি।’’ পরে ফের বাবা-মার উপর অত্যাচার করবে না, এই মর্মে ছেলের কাছ থেকে একটি মুচলেখা লিখিয়ে নেয়। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার জানান, ‘‘দু’জন খুব ভাল কাজ করেছেন।’’