বিসর্জনে গোল, ছড়াল উত্তেজনা

মঙ্গলবার সন্ধে থেকে কৃষ্ণনগরে ভাসান শুরু হয়। প্রায় দেড়শো প্রতিমা মণ্ডপ থেকে রাজবাড়ি ঘুরে কদমতলা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। অনেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই সাঙে করে প্রতিমা বহন করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৪
Share:

প্রতিমায় আগুন।

সরস্বতী পুজোর ভাসানকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কৃষ্ণনগরে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধে থেকে কৃষ্ণনগরে ভাসান শুরু হয়। প্রায় দেড়শো প্রতিমা মণ্ডপ থেকে রাজবাড়ি ঘুরে কদমতলা ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জলঙ্গি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। অনেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর মতোই সাঙে করে প্রতিমা বহন করেন।

এই সাঙে করে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রথমে এভি স্কুলের কাছে নগেন্দ্রনগর ও চকেরপাড়া এলাকার দুটো ক্লাবের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়ায়। ছোটাছুটি শুরু করেন দর্শনার্থীরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর পরও একাধিক জায়গায় ছোটখাট অশান্তি হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।

Advertisement

এর পর কদমতলা ঘাটের কাছে একটি প্রতিমায় আগুন ধরে যায়। প্রাথমিক ভাবে পুলেশের অনুমান, বিদ্যুতের তার থেকে কোনও ভাবে আগুন লেগে যায়। ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত দর্শনার্থীরা বালি দিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই প্রতিমার প্রায় সবটাই পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে ভাসান শেষ হতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। অন্য বার একটা-দেড়টার মধ্যে শেষ হয়ে গেলেও এ বার ভাসান শেষ হতে ভোর চারটে বেজে যায়।

কৃষ্ণনগর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান অসীম সাহা বলছেন, “এ বার প্রতিমার সংখ্যা শুধু বেশি ছিল তা নয়, প্রতিমাগুলো ছিল খুব বড়। তার উপরে সাঙে বহন করার জন্য বেহারারাও তেমন শক্তিশালী ছিল না। সেই কারণে দেরি হয়ে গিয়েছে।” জেলার পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তিনি তা কেটে দেন। নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন