হাসপাতালের পুরুষ বিভাগে ঢুকে সরকারি কর্তাদের ‘তাণ্ডবের’ অভিযোগে দিন কয়েক আগে সামনে এসে পড়েছিল নবগ্রাম ব্লক হাসপাতালের নাম। এ বার নবগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে বিএমওএইচ-সহ চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে উঠল সরকারি আবাসনে বসে রোগী দেখার অভিযোগ।
রোগীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রতি দিন সন্ধ্যার পরে রোগী গেলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে না। সরকারি কোয়ার্টারে তাঁরা তখন ব্যস্ত তাকেন রোগী দেখতে। অভিযোগ, অবশ্য মানতে নারাজ নবগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ আমিও শুনেছিলাম। তদন্ত করে দেখেছি, আদপেই সত্যি নয়।’’
মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সদস্য কংগ্রেসের ধীরেন্দ্রনাথ যাদবের অভিযোগ, হাসপাতালের কোয়ার্টারে বসে পদস্থ কর্তারা মদ খাচ্ছেন, অন্য দিকে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা মদের আসর বসাচ্ছে হাসপাতাল চত্বরেই। তাদের দৌরাত্ম্যে রোগীর বাড়ির লোকজন বিশেষ করে মহিলারা আতঙ্কিত বোধ করছেন। তাঁরা সন্ধ্যার পরে হাসপাতালের বাইরে বের হতে পারেন না। কিন্তু বিএমওএইচের ক্ষমতা নেই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার। কারণ তিনিও একই কারণে অভিযুক্ত। অভিযোগের তালিকায় রয়েছে— হাসপাতালের শৌচাগারের অপরিচ্ছন্নতা। বিএমওএইচ জানান, হাসপাতালে সাফাই কর্মীর অভাব রয়েছে। থাকার কথা পাঁচ জন, রয়েছেন মাত্র এক জন। তবে, সিএমওএইচ নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে, সবাইকে বলেছি, লিখিত অভিযোগ দিতে।’’