পছন্দের বিষয় নিতে চাইলেই না

পছন্দের বিষয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে অথচ, পড়তে চাইলেই শুনতে হচ্ছে ‘না’। এমনই অভিযোগে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীরা গত কয়েক দিন ধরেই উগরে চলেছেন তাঁদের ক্ষোভ।

Advertisement

মনিরুল শেখ

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৪
Share:

পছন্দের বিষয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে অথচ, পড়তে চাইলেই শুনতে হচ্ছে ‘না’। এমনই অভিযোগে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রছাত্রীরা গত কয়েক দিন ধরেই উগরে চলেছেন তাঁদের ক্ষোভ।

Advertisement

‘চয়েজ বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’, চালু লব্জ সিবিসিএস— ইউজিসি’র নতুন নিয়মে দেশের সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্নাতকোত্তর স্তরে অনার্সের সঙ্গেই বাধ্যতামূলক ভাবে আর একটি বিষয় বেছে নিতে হচ্ছে। পছন্দের তালিকায় যে বিষয়ই বাছছেন ছাত্রছাত্রীরা, শুনতে হচ্ছে শিক্ষক নেই, ও বিষয় পড়া যাবে না। বিপত্তি তা নিয়েই।

ক্ষোভের সামাল দিতে কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনও সুরাহা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষ বলছেন, ‘‘বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীই একটি বিশেষ বিষয় পড়তে আগ্রহী। যেমন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বা বাংলা। কিন্তু ওই সব বিষয়গুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা বড় কম। সমস্যা হচ্ছে এর ফলেই।’’ এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স’-এ যেমন আসন সংখ্যা ৩০। কিন্তু পড়তে চেয়েছে প্রায় অন্তত ১৫০ জন। ফলে, সকলকে তাদের প্রথম পছন্দের বিষয় দেওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় জানাচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫ বা ৪০ জনকে ওই বিষয়ে ভর্তি করা যাবে। এতে অন্যরা ক্ষুব্ধ হচ্ছে।

Advertisement

গত সোমবার যেমন উপাচার্য ভিসুয়াল আর্টের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। কারণ, তাঁরা প্রত্যেকেই পছন্দের বিষয় হিসাবে ‘লোকসংষ্কৃতি’ কে বেছে নিয়েছেন। উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি ওদের বুঝিয়ে বলেছি, কমার্স পড়া যেতে পারে, অন্য অনেক বিষয় পড়া যেতে পারে। শুধু প্রথম পছন্দের বিষয় নিয়ে জেদ ধরে থাকলে হবে না। কারণ, সকলে একই বিষয় নিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সেই দাবি মেটানো মুশকিল।’’

তিনি জানিয়েছেন, অন্য অনেক আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে ছাত্রেরা জানে না। সেগুলি বোঝানোর এবং উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানানচ্ছেন তিনি।

তবে, ভিসুয়াল আর্টের এক জন পড়ুয়ার বক্তব্য, ‘‘আমাদের বিষয়ের সঙ্গে লোক সংস্কৃতির মিল রয়েছে। তাই আমাদের লোক সংস্কৃতির পেপার পড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্য বিষয় নিলে অনার্সের বিষয়ের সঙ্গে কোনও মিলই থাকবে না। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে কথায় কানই দিচ্ছেন না।’’ বাংলা বিভাগের তরফে দাবি, তারা সিবিসিএস-মেনে জনা ৫০ পড়ুয়া নিতে পারবে। কিন্তু সেখানে প্রায় শ’খানেক পড়ুয়া বাংলা পড়তে চেয়ে আবেদন করে বসে আছে।

তবে, শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কল্যাণী নয়, এ সমস্যা রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই। সকলেই নিজের মতো করে সমস্যা মেটাচ্ছে। কল্যাণী কোন পথে সুরাহা খোঁজে এখন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন