Coronavirus

করোনার ভয়ে ‘অক্সিজেন’ ফিরেছে ঝিল্লির স্বাস্থ্যকেন্দ্রে

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারস্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লি গ্রামের বাসিন্দারা দূরত্বের কারণেই ছোটখাটো অসুখ, জ্বরজারিতে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।

Advertisement

কৌশিক সাহা

খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৮
Share:

রোগীর ভিড়। নিজস্ব চিত্র

একই ব্লকের অন্তর্গত হলেও গ্রাম থেকে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালের দূরত্ব অনেকটাই। এদিকে, গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকলেও এতদিন সেখানে চিকিৎসকের দেখা মিলত না বলে অভিযোগ। কিন্তু এ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এখন সেখানেই রোজ বসছেন চিকিৎসক। যা দেখে গ্রামবাসীদের অনেকেই মুচকি হেসে বলছেন, ‘‘করোনায় সুদিন ফিরেছে গ্রামের।’’

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লি গ্রামের বাসিন্দারা দূরত্বের কারণেই ছোটখাটো অসুখ, জ্বরজারিতে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তবে এতদিন সেখানে চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগ করতেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের একের পর এক ঘটনা সামনে আসার পর গত কয়েক দিন ধরে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক একজন চিকিৎসককে নিয়োগ করেছে।এই ব্লকে মোট চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। তবে সবক’টি কেন্দ্রই এতদিন ফার্মাসিস্টরাই ‘চালাতেন’। মাড়গ্রাম, পারুলিয়া, ঝিল্লি ও ইন্দ্রানীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক না থাকায় এতদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে তাঁরা একাধিক বার সরব হয়েছেন। তবে করোনার সংক্রমণের আবহে জোড়াতালি দেওয়ার মতো একজন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক অবশেষে মেলায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমেছে। জানা গিয়েছে, খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে ঝিল্লিতে নিয়মিত চিকিৎসক পাঠানো সমস্যার বলে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর রামপুরহাটের বাসিন্দা ওই চিকিৎসককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছে। তবে ওই হাসপাতালে নার্সের অভাব এখনও রয়েছে। ঝিল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কামরেজামান সরকার বলেন, “এত গলা ফাটিয়ে একজন চিকিৎসক জুটল। করোনাই অক্সিজেন জুগিয়েছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।” খড়গ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক নিত্যানন্দ গায়েন বলেন, “গ্রামবাসীরা যাতে অযথা আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, সেই জন্য ঝিল্লি হাসপাতালে একজন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি তিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সপ্তাহে এক দিন একজন চিকিৎসক যাচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন