Coronavirus

ভিন্ রাজ্য থেকে এলেই নজরবন্দি

বেশ কিছুদিন ধরেই তেহট্ট ব্লকে ফিরছেন কর্মসূত্রে বিদেশ বা অন্য রাজ্যে যাওয়া বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ০৬:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি

ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা মানুষদের নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন পড়শিরা। কেউ প্রশাসনের কাছে খবর পাঠাচ্ছেন, কেউ আবার জানেন না কী ভাবে প্রশাসনকে জানাতে হবে।

Advertisement

সে কথা মাখায় রেখে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তেহট্ট ১ ব্লক অফিসে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (নম্বর: ‌৯৫৬৪৫৯০২৩২)। ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা ব্যক্তি বা যে কোনও সন্দেহভাজন আক্রান্তের কথা সেখানে সরাসরি জানানো যাবে। তা ছাড়া, ব্লক অফিস থেকে প্রত্যেক পঞ্চায়েতকে সচেতন করা হচ্ছে। পঞ্চায়েতগুলিকে জানানো হচ্ছে, প্রত্যেক সদস্য যাতে নিজের এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে ভিন্ রাজ্যের মানুষের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনকে জানান।

বেশ কিছুদিন ধরেই তেহট্ট ব্লকে ফিরছেন কর্মসূত্রে বিদেশ বা অন্য রাজ্যে যাওয়া বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁদের অনেকেই ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি থাকার বদলে হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হাসপাতালে দেখানোর কথা বললেও ‘কিচ্ছু হয়নি আমার’ বলে চলে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকালে মহারাষ্ট্র ফেরত এক যুবক বাজারে চায়ের দোকানে এসেছিলেন। বন্ধুবান্ধবেরা তাঁকে হাসপাতালে যাওয়ার কথা বললেও তিনি তা শোনেননি। বিকেলে ফের তিনি বাজারে ঘোরাঘুরি করেন। এর পরেই এলাকা থেকে প্রশাসনের কাছে খবর দেওয়া হয়।

Advertisement

এই ধরনের ঘটনা একটি-আধটি নয়। অনেকেই হোম কোয়রান্টিনে না থেকে ঘোরাঘুরি করছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। হাঁসখালি ব্লক মেডিক্যাল অফিসার বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘‘বাইরে থেকে প্রচুর মানুষ ফিরছেন। আমাদের আশাকর্মীরা নজর রাখছেন। জনপ্রতিনিধিরও নজর রাখছেন। যাঁরা আসছেন, তাঁদের সবাইকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। যদি কেউ বাইরে বেরোন, খবর পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছি।” তেহট্ট মহকুমাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ভিন্ রাজ্য থেকে আসা মানুষজনের খোঁজ রাখা ও তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি।’’

দিন পনেরো আগে বাসে করে হরিদ্বারে বেড়াতে গিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া এলাকার ৪৬ জন। শুক্রবার সেই বাস ফিরে এলে তাঁদের কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁদের পরীক্ষা করেন। তবে তাঁদের কারও অস্বাভাবিক শারীরলক্ষণ দেখা যায়নি। সকলকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে।

শান্তিপুর থানা এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা কর্মসূত্রে ভিন্‌রাজ্যে থাকেন। সদ্য তাঁরা বাড়িতে ফিরেছেন। শুক্রবার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এ রকম ১৫৪ জনের পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে কারও অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এঁদের দুই সপ্তাহ হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন