Coronavirus

হাসপাতাল নিয়ে খুশি গোকর্ণের

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজারকান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে গোকর্ণ গ্রামে এই হাসপাতাল।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০০:৪২
Share:

রোগীদের ভরসাস্থল। নিজস্ব চিত্র

এক-আধটা গ্রাম নয়। করোনা নিয়ে আতঙ্কের সময় চিকিৎসায় এলাকার ১০-১২টি গ্রামের বল-ভরসা হয়ে উঠেছে গোকর্ণ গ্রামীণ হাসপাতাল। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, লকডাউনের মধ্যে গত দু’মাসে বাড়ি থেকে কয়েক কিমি পথ পাড়ি দেওয়াই যখন ঝক্কির, তখন হাতের কাছে গোকর্ণ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের পেয়ে তাঁদের চিকিৎসা নিয়ে সমস্যা দূর হয়েছে।

Advertisement

কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কের পাশে গোকর্ণ গ্রামে এই হাসপাতাল। কান্দি ব্লকের অন্তত পাঁচটি অঞ্চলের ১০-১২টি গ্রামের বাসিন্দা এই হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে আসেন। প্রসঙ্গত, কান্দি মহকুমার বড়ঞা, খড়গ্রাম, ভরতপুর-১ ও ২— এই চারটি ব্লকে করোনা পজ়িটিভ রোগী পাওয়া গেলেও কান্দি ব্লকে এখনও ওই রোগে আক্রান্তের খবর নেই। ফলে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তিতে এই ব্লকের বাসিন্দারা। আর সর্বক্ষণ তাঁদের এ নিয়ে বরাভয় দিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন ছোট-বড় হাসপাতালের চিকিৎসকরা। গোকর্ণ হাসপাতালে অন্তর্বিভাগে ৩০টি শয্যা আছে। সেখানে রোগী ভর্তি নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সপ্তাহে ছ’দিন বহির্বিভাগে চিকিৎসক রোগী দেখেন। সূত্রের খবর, প্রতিদিন প্রায় আড়াইশো রোগী সেখানে আসেন। হাসপাতালে চারজন চিকিৎসক, ১২ জন নার্স এবং জনাদশেক স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। তবে একজন ফার্মাসিস্টের পদ শূন্য পড়ে রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও হাসপাতালের পরিষেবায় খুশি এলাকাবাসী। পার্থসারথি ধর নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বললেন, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখে অনেকেই আতঙ্কে ভুগছেন। এই সময় চিকিৎসকের পরামর্শ প্রতি মুহূর্তে প্রয়োজন। গোকর্ণ হাসপাতালে গিয়ে ঠিক সেটাই আমরা পাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন