Coronavirus

নয় মিনিটের দীপাবলি

ঠিক একই রকম ভাবে বারান্দা কিংবা ছাদে মোমবাতি জ্বালানো, দেদার পটকা, আতসবাজি ফাটানো।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৪
Share:

কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জানলায় জ্বলল ফ্ল্যাশ লাইট। তেহট্টে। নিজস্ব চিত্র

ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নয় মিনিটের অকাল দীপাবলি।

Advertisement

ঠিক একই রকম ভাবে বারান্দা কিংবা ছাদে মোমবাতি জ্বালানো, দেদার পটকা, আতসবাজি ফাটানো। অনেক জায়গায় এর সঙ্গে ছিল শাঁখ, কাসর, ঘণ্টা, উলুধ্বনিও। আসল দীপাবলির মতো রাতের আকাশ আলো করে উড়ল ফানুসও। টর্চ আর মোবাইলের আলোয় পাড়ার গলি আলোময় হল।

কেউ বলছেন, খোদ প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে যোগ দেওয়া জাতীয় কর্তব্য। অনেকে আবার এত দিন লকডাউন থাকার একঘেয়েমি কাটাতে আলো জ্বালানোয় শামিল হয়েছেন। কেউ কেউ বিশ্বাস রাখছেন গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চালাচালি হওয়া তিথি-নক্ষত্রের হিসেবে। যেখানে সময় মেনে এই আলো জ্বালানোর নানা উপকারিতা ঘটা করে লেখা হয়েছে। কেউ আবার এই সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। তবে জেলার অধিকাংশ জায়গাতেই রবিবার রাত ৯টা থেকে ৯টা ৯ মিনিট পর্যন্ত হয়েছে
আলোর উৎসব।

Advertisement

কৃষ্ণনগর শহরে বেশির ভাগ পাড়ায় ৯টা বাজার একটু আগে থেকেই বাড়ির লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় মোমবাতি আর মাটির প্রদীপ জ্বালানো। সঙ্গে উলু আর শঙ্খধ্বনি। শহরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা থেকে শোনা গিয়েছে পটকার আওয়াজও। নেদেরপাড়ায় একটি নার্সিংহোম থেকে নার্সেরা এক সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে এসে করোনা-আক্রান্তদের মঙ্গল কামনায় মোমবাতি জ্বালান। শহরের বেশ কিছু অংশে এই আকাল আলোর উৎসবের রেশ ছিল নির্দিষ্ট সময়েরও কিছু ক্ষণ পর পর্যন্ত। কিছু এলাকায় আবার স্থানীয় লোক জন ট্রান্সফর্মারের আইসোলেটর অফ করে দিয়ে পাড়া অন্ধকার করে দেন। অনেকে রাস্তায় নেমে এসে মোমবাতি ও টর্চ জ্বালান ও বাজি পোড়ান। পলাশি এলাকায় পোলের লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়। ঢাকও বেজেছে অনেক জায়গায়।

তেহট্টের করোনা কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জানলা ও ছাদেও এ দিন টর্চের আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছে। কালীগঞ্জে আবার রাত ৯টা থেকে ৯টা বারো মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। করিমপুর ও কল্যাণীর বিভিন্ন অংশে মানুষ ঘরের আলো নিভিয়ে মোমবাতি জ্বালেন ও শাঁখ বাজান। তেহট্টের অনেক জায়গায় খোল করতালও বেজেছে বেশ কিছু পাড়ায়। নবদ্বীপেও পুরদস্তুর কালীপুজোর মেজাজ। শাঁখ বেজেছে, পটকা ফেটেছে, আলো নিভিয়ে ঘর সাজানো হয়েছে প্রদীপ ও মোমবাতিতে। উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে পাড়া। রানাঘাট, চাকদহ, শান্তিপুর, শিমুরালিতেও অসংখ্য মানুষ যোগ দিয়েছেন আলো জ্বালানোর উৎসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন