আদালত চত্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
ভরদুপুরেই গরুর ডাকে সরগরম আদালতের উঠোন!
আট-আটখানা গরু এ-ওর গা ঘেঁষে জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে। পাহারায় পুলিশ অফিসার। গরু তত্ত্বাবধান করছেন।
আদালতে এলে ভয়ে তটস্থ থাকতে হয় সকলকেই। কিন্তু বেচারা গরুর সে দায় নেই! তাই মাঝে মধ্যেই সকলকে চমকে দিয়ে হাম্বা...।
আদালতের নির্দেশে এ দিন তাদের ঠিকানা বদলে গেল পুলিশি হেফাজত থেকে বেসরকারি গোশালায়।
সোমবার সুতির একটি মামলায় আটক ৮টি গরুকে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত গোশালার হেফাজতে তুলে দেওয়ার জন্য সুতি থানার পুলিশকে নির্দেশ দিলেন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতের বিচারক অমরকিশোর মাহাত।
গত ১ জানুয়ারি গরুগুলি নিয়ে পাচারকারীরা যখন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল তখন মহেন্দ্রপুরের কাছে সেগুলি আটক করে সুতি থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক বাংলাদেশি-সহ ৩ জনকে। তারা অবশ্য এখনও জেল হেফাজতেই রয়েছে।
সেই মামলাকে সামনে রেখেই বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থা তাদের গোশালায় গরুগুলিকে রাখার অনুমতি প্রার্থনা করে আর্জি জানায় জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে।
সেই মামলায় আদালতে ৮টি গরু নিয়ে সুতি থানার পুলিশকে সোমবার সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত চত্বরে বেঁধে রাখা হয় গরুগুলি।
এ দিনই বিচারক আদালতে আনা ৮টি গরুই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিতে আদালতে হাজির মামলার তদন্তকারী অফিসারকে নির্দেশ দেন।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা কবিতা জৈনকে এক লক্ষ টাকার বন্ড জমা দিতে বলা হয় আদালতে। আদালতে হাজির ছিলেন তিনিও। তিনি জানান, গরুগুলিকে রাখা হবে বারুইপুরে তাঁদের গোশালায়।