Migrant Workers

কাজের সন্ধানে ফের ভিন্ রাজ্যে মুর্শিদাবাদের শ্রমিকেরা, ভিড় বাড়ছে নিউ ফরাক্কা স্টেশনে

জেলায় কাজের অভাব। তাই নিজের ও পরিবারের অন্নসংস্থানের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী দিল্লি এবং পার্শ্ববতী এলাকায় কাজের সন্ধানে পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ১৭:২৫
Share:

ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার জন্য নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছেন বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক।

করোনা অতিমারি রুখতে দেশের একাধিক রাজ্যে চলছে পূর্ণাঙ্গ কিংবা আংশিক লকডাউন। ফলে কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমিক। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকে নিজেদের জেলায় ফিরে এসেছেন ইতিমধ্যেই। এরই মধ্যে ‘অন্য ছবি’ দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদে। ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়ার জন্য নিউ ফরাক্কা স্টেশনে ভিড় জমাচ্ছেন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক। গত কয়েক দিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য।

Advertisement

ভিন্ রাজ্যগামী শ্রমিকদের একাংশের বক্তব্য, রাজ্যে কাজের অভাব। তাই নিজের ও পরিবারের অন্নসংস্থানের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানী দিল্লি এবং পার্শ্ববতী এলাকায় কাজের সন্ধানে পাড়ি দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী গরিব পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর দাবি করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কয়েক দিন আগে।

চিঠিতে অধীর লিখেছেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যের গরিব, দিনমজুর ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষেরা লকডাউনের কারণে যে ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সে বিষয়ে আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। এই মহামারি এবং লকডাউনের ফলে বহু মানুষ বেকার হয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁরা পরিবারকে খাবার দিতে সক্ষম হচ্ছেন না। তাঁরা শোচনীয় অবস্থায় রয়েছেন। এবং হতাশ বোধ করছেন’। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি পরিবারকে বিনামূল্যে খাদ্য এবং বেকারদের প্রতিমাসে ৬,০০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছেন অধীর।

Advertisement

ভিন্ রাজ্যগামী মালদহ-মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের বড় অংশই নির্মাণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা ইদের সময় বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু করোনা আবহে রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি হওয়ায়, ফের কাজের সন্ধানে দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফিরে যাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন