শ্বাসনালী কেটে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। নাম ভোলানাথ ঘোষ (৪৫)। বাড়ি শান্তিপুরের বগলপুর এলাকায়। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে খানিক দূরে মাঠের ভিতরে একটি বাঁশের মাচার উপরে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। তারপর পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের ছেলে রাকেশ ঘোষ পুলিশের কাছে এ দিনই গ্রামের তিনজনের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে শুকদেব ঘোষ, শঙ্কর ঘোষ ও নরোত্তম রাজোয়ার নামে তিন অভিযুক্তকেই সোমবার গ্রেফতার করছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, টাকা পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই খুন করা হয়েছে ভোলানাথবাবুকে। এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। নিহত ব্যক্তিকে তাদের সমর্থক বলে দাবি করছে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সিপিএম লোকজন ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে।
নিহতের ভাই সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘রবিবার সকালে হাটে সব্জি বেচতে গিয়ে দাদা আর বাড়ি ফেরেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দাদাকে গ্রামেরই তিন জন মাঠে ডেকে নিয়ে গিয়ে মদ খায়। সকালে মাঠ থেকে দাদার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল।’’ জেলার পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা অবশ্য বলেন, ‘‘তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে খুনের সঠিক কারণ জানার চেষ্টা চলছে।’’ রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিহত এই যুবক আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তাকে সিপিএমের লোকজন খুন করেছে।’’ সিপিএম- এর শান্তিপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক অনুপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন।’’