নবগ্রামের টোল প্লাজায় সেনারা। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
মেহেদিপুরের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের টোল-প্লাজায় শুক্রবারও হাজির রইল সেনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই আচমকা সেনা হাজির হয়েচিল সেখানে। এ দিন সকাল থেকেও জনা বারো সেনা মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। কারও কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। বরং টোল-প্লাজার বহরমপুরের দিকে ছ’জন এবং ফরাক্কার দিকে ছ’জন সেনা খাতা-কলম হাতে তৈরি ছিলেন। ফরাক্কা ও বহরমপুর— দু’দিক থেকেই ওই পথে যাতায়াতকারী বড় পণ্যবাহী লরির নম্বর টুকছিলেন তাঁরা। তবে কোনও রকম যান নিয়ন্ত্রণ করেননি। লরিগুলি স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করেছে।
ওই টোল-প্লাজায় টোল আদায়ের দায়িত্বে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে রয়েছে হিন্দুস্তান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। সংস্থার প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জয় ঘটক জানান, নবগ্রাম সেনা ছাউনি থেকে বেশ কয়েক জন সেনা এসে ১০ ও ১২ চাকার বড় লরির নম্বর টুকে রাখছেন।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এটা তাদের ‘রুটিন’ কাজের মধ্যে পড়ে। নবগ্রাম সেনা ছাউনি থেকে আচমকা সমরাস্ত্র ও সেনাদের অন্য কোনও জায়গায় দ্রুত স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর নিজস্ব গাড়ির বাইরেও অনেক সময়ে ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা বড় লরির প্রয়োজন হয়। তাই ওই পথে চলাচলকারী লরির নম্বর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে বিভিন্ন টোল-প্লাজায় যে ওই সমীক্ষা চালানো হবে তা-ও জেলা পুলিশ-প্রশাসনকে আগাম জানানো হয়েছিল।’’
সুতির চাঁদের মোড়েও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে টোল-প্লাজা রয়েছে। কিন্তু সেখানে কোনও সেনাকে এ দিন দেখা যায়নি। আধাসেনা বিএসএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আর জি শর্মা বলেন, ‘‘আমরা এই কাজে যুক্ত নই। আমাদের জওয়ানদের এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এটা পুরোপুরি সেনাবাহিনীর ব্যাপার।’’