শিশুশ্রমিক আছে কি, জেলায় ফের তল্লাশি

বছর সাতেক আগে এক বার সমীক্ষা হয়েছিল। জেলাজুড়ে কোনও শিশুশ্রমিক খুঁজে পাওয়া যায়নি সে বছর। অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

বছর সাতেক আগে এক বার সমীক্ষা হয়েছিল। জেলাজুড়ে কোনও শিশুশ্রমিক খুঁজে পাওয়া যায়নি সে বছর। অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন।

Advertisement

ফের শুরু হয় সমীক্ষা। সালটা ২০১৪। এ বার শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। তবুও দেখা যায় কিছু কিছু পুরসভায় কোনও শিশুশ্রমিক নেই। প্রশ্ন ওঠে ফের।

শিশুশ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা জানতে তাই আবারও জেলাজুড়ে সমীক্ষা করতে চলেছে প্রশাসন।

Advertisement

২০১০ সালের সমীক্ষার পর স্বয়ং তৎকালীন জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা সেই রিপোর্টকে অবাস্তব জানিয়ে দেন। রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি, সেই রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠাতেও দেননি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে বিডিওদের মাধ্যমে সমীক্ষা করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় বলা হয় যে জেলায় কোনও শিশুশ্রমিক নেই। ২০১৪ সালে ফের সমীক্ষা হলে দেখা যায় রিপোর্ট অনুযায়ী জেলার ১০টি পুরসভার মধ্যে ৪টিতে কোনও শিশুশ্রমিক নেই। কোনওটিতে আবার শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ২৫ তো কোনওটিতে ২৩ জন। ১৭টি ব্লকের মধ্যে কোনওটায় আবার শিশুশ্রমিকের সংখ্যা মাত্র ২ জন তো কোনওটায় ৯ জন।

সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী ১৭টি ব্লকে মোট শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৩৩৩১। ১০টি পুর এলাকার সেই সংখ্যা মাত্র ৩৪২ জন। পরে অবশ্য যে সব পুরসভা এলাকায় একটিও শিশুশ্রমিক নেই বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, সেই সব এলাকাতেই অভিযান চালিয়ে একের পর এক শিশু শ্রমিক উদ্ধার করেন শ্রম দফতরের আধিকারিকরা।

এ বার তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে জেলাশাসকের পাশাপাশি একাধিক আধিকারিককে নিয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড লেবার সার্ভে কমিটি’ তৈরি করা হয়েছে। নানা ভাবে যাচাই করার পর তবেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সমীক্ষার। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “জেলার ভিতরে শিশুশ্রমিকের প্রকৃত সংখ্যা জানতে যা যা পদক্ষেপ করার, তা করা হচ্ছে। আমরা চাই প্রকৃত তথ্য উঠে আসুক।”

এ বার তাই প্রথমে আবেদনের ভিত্তিতে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে কিছু ছোট ছোট এলাকায় সমীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আবার
ব্লকের ‘ইন্সপেক্টর অব মিনিমাম ওয়েজেস’ রিপোর্টটি যাচাই করেন। ৯টি সংস্থার মধ্যে যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্ট সন্তোষজনক ছিল, তাদেরকেই গোটা জেলার সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সমীক্ষা শেষ হয়ে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন