তাহেরপুরে নিখোঁজ চালকের দেহ উদ্ধার

দিনকয়েক নিখোঁজ থাকার পর লরি চালক ও খালাসির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার লরি চালক তমাল ঘোষ (৩৫) এবং খালাসি গোপাল দলুই (৩২)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন নদিয়ার তাহেরপুরের দু’টি পৃথক জায়গা থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট ও সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৫ ০১:২১
Share:

দিনকয়েক নিখোঁজ থাকার পর লরি চালক ও খালাসির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। সোমবার লরি চালক তমাল ঘোষ (৩৫) এবং খালাসি গোপাল দলুই (৩২)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ দিন নদিয়ার তাহেরপুরের দু’টি পৃথক জায়গা থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়। তারপর পুলিশ দেহ দু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু দেহ পচন ধরায় সেখান থেকে মৃতদেহ দু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্যে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমালবাবুর বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার বাহিরা এলাকায়। আর গোপালবাবুর বাড়ি বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার কাপাসডাঙা এলাকায়। শনিবার বিকেলে তাঁরা তুষ ভর্তি লরি নিয়ে বীরভূম থেকে রওনা দেন। রবিবার দুপুরে দু’টো নাগাদ নদিয়ার কল্যাণীর একটি কারখানায় ওই তুষ খালাস করেন তাঁরা। তারপর এ দিন বিকেলে গাড়ি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন তাঁরা। রবিবার রাত সাড়ে সাতটা তমালবাবুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মোবাইলে কথা হয়। তিনি স্ত্রীকে জানান, বাড়ি ফিরছেন। কৃষ্ণনগরের আশপাশে রয়েছেন। তারপর থেকে বাড়ির সঙ্গে তমালের আর কোনও যোগাযোগ হয়নি। পরিবারের তরফে এ দিকে সে দিক খোঁজাখুঁজিও শুরু হয়। যদিও পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। সোমবার রানাঘাট-১ ব্লকের খিসমা গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরনগর–আড়ংঘাটার রাস্তায় ঝামালডাঙা এলাকায় তমালের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁর দেহের খানিকটা দূরে লরিটিও মেলে।

তমালের দেহ উদ্ধারের স্থান থেকে ওই রাস্তায় উপরে দুই কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার হয় গোপালের দেহ। দেহ দু’টি উদ্ধারের পর পুলিশ জানতে পারে, বীরভূমের একটি লরি- সহ চালক ও খালাসি নিখোঁজ হয়েছেন। খবর পৌঁছয় তমালের বাড়িতে। মঙ্গলবার তাঁর বাড়ির লোকজন হাসপাতালে এসে দেহ শনাক্ত করেন। চিহ্নিত হয় গোপালের দেহও।

Advertisement

জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও সন্দিহান। মাল খালাস করে বীরভূম যেতে গেলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। তমালবাবু স্ত্রী’কেও জানিয়েছিলেন, তিনি কৃষ্ণনগরের পথ ধরে বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু তাঁদের দেহ মিলেছে জাতীয় সড়ক থেকে অনেকটা দূরে, বীরনগর-আড়ংঘাটা সড়কে।

দেহ দু’টি দুই কিলোমিটার ব্যবধানে কেন উদ্ধার হল? কী কারণে তাঁদের খুন করা হল? ছিনতাইয়ের উদ্দেশে খুন করা হলে, অক্ষত অবস্থায় লরিটিকে পাওয়া যেত না। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন