ঝড় উঠলে ভ্যাটের জঞ্জাল এসে ঢোকে বাড়িতে, ছড়িয়ে পড়ে শহরে

লোকালয়ে ভ্যাট, দুর্গন্ধে দিশেহারা রঘুনাথগঞ্জ

রঘুনাথগঞ্জে লোকালয়ের মধ্যেই গড়ে উঠেছে জঞ্জালের ভ্যাট। যতদিন যাচ্ছে আবর্জনার স্তুপও তত উঁচু হচ্ছে। আর ধুলিয়ানে যত্রতত্র জঞ্জালের স্তুপ। জঙ্গিপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গুজিরপুর সড়কের পাশেই ওই জঞ্জালের ভ্যাট বন্ধের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার দাবি জানালেও তা আজও বন্ধ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

ডাঁই: এই ভাবে জমছে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র

কেউ দেখছেন নির্মল বাংলার স্বপ্ন। কেউ বা স্বচ্ছ ভারতের। আজ, সোমবার ঘটা করে পরিবেশ দিবস পালনের প্রস্তুতিও চলছে কোথাও বা। অথচ গঙ্গা পাড়ের দুই শহর— ধুলিয়ান ও রঘুনাথগঞ্জে জমে থাকা জঞ্জালের দুর্গন্ধে বিষিয়ে উঠছে পরিবেশ। শৌচাগার না থাকায় লোকজন প্রাতঃকৃত্য সারছেন এ দিক সে দিকে।

Advertisement

রঘুনাথগঞ্জে লোকালয়ের মধ্যেই গড়ে উঠেছে জঞ্জালের ভ্যাট। যতদিন যাচ্ছে আবর্জনার স্তুপও তত উঁচু হচ্ছে। আর ধুলিয়ানে যত্রতত্র জঞ্জালের স্তুপ। জঙ্গিপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গুজিরপুর সড়কের পাশেই ওই জঞ্জালের ভ্যাট বন্ধের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা বার বার দাবি জানালেও তা আজও বন্ধ হয়নি। অগত্যা অতিষ্ঠ বাসিন্দারা দুর্বিষহ পরিস্থিতির কথা জানিয়ে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পরিবেশ দূষণ রোধ দফতরের।

ডালিম ঘোষ বলেন, “ঝড় উঠলে এই ভ্যাটের জঞ্জাল এসে ঢোকে বাড়িতে।’’ এই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিন কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের জঙ্গিপুর মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ। তিনি জানান, গুজিরপুরে শহরের যত জঞ্জাল ফেলা হচ্ছে। ওই এলাকার চারিদিকে বসতি। এমনকি জঞ্জালের ভ্যাটের পাশেই শ’দেড়েক পরিবারের বাস। তারা দুর্গন্ধে থাকতে পারছেন না। এ নিয়ে পুরসভা ঘেরাও করে ধর্ণায় বসাও হয়েছে। তিনি বলেন, “১৪ নম্বর ওয়ার্ডে অর্ধেক বাড়িতেই শৌচাগার নেই। তারা শৌচ সারেন ভ্যাটের আশেপাশে।’’

Advertisement

ধুলিয়ানে আবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে একটি করে এলাকায় ফেলা হচ্ছে যত জঞ্জাল। ঝড় বৃষ্টিতে সে জঞ্জাল ছড়াচ্ছে আশপাশে। পচে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ঘোড়াগাড়ি স্ট্যান্ড, গরুর হাট পাড়া সর্বত্রই জমে রয়েছে জঞ্জাল। পুরসভার শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী সাফাই কর্মী থাকলেও শহর জঞ্জালময় কেন? ধুলিয়ানের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হাসনাত শেখের জবাব, “দেশের সব পুরসভাতেই এমন জঞ্জাল থাকে।’’

জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম সমস্যার কথা মানছেন। তবে তাঁর কথায়, “প্রতিদিন শহরের জঞ্জালের কিছু অংশ ফেলা হয় গুজিরপুরের ওই ভ্যাটে। বাকিটা ফেলা হয় শহরের বাইরে। গুজিরপুরের ভ্যাটে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করে প্রাচীর দিয়ে তা ঘিরে দেওয়া হবে। গড়া হবে যৌথ শৌচাগার। তবে সময় লাগবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement