ভাঙা হচ্ছে ভাটি।—নিজস্ব চিত্র
গ্রামে চোলাইয়ের রমরমা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। আনন্দবাজার পত্রিকার ‘আপনার আদালত’ বিভাগে সে খবরও বেরিয়েছে। শনিবার সুতির সেই বংশবাটি গ্রামে হানা দিয়ে কুড়িটিরও বেশি চোলাই মদের ভাটি ও ঠেক ভাঙল জেলার আবগারি দফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা।
এ দিন বেলা ৯টা নাগাদ গ্রামে ঢোকেন তাঁরা। গ্রামের হাটতলা থেকে শুরু হয় অভিযান। পশ্চিমপাড়া, শিয়ালপাড়া হয়ে খাসপাড়ায় শেষ হয় আড়াই ঘণ্টার ওই অভিযান। কোথাও চোলাই ভর্তি জ্যারিকেন, কোথাও বা হাঁড়ি বোঝাই গুড় মেলে। সব কিছু ফেলে দেওয়া নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মদের ঠেকের জিনিসপত্রও। আটক করা হয়েছে মদ তৈরির হাঁড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী।
অভিযান শেষে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িও যান আবগারি দফতরের কর্মীরা। তাঁরা প্রধানকে অনুরোধ করেন যাতে গ্রামের চোলাই মদের কারবারিদের কোনও রকম ভাবে সুযোগ সুবিধা না দেওয়া হয়। তবে এ দিন কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রধান খুকি রাজবংশি জানান, আবগারি দফতরের অনুরোধ মতো গ্রামে ঢোলাই দিয়ে মদ বেচাকেনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিনের অভিযানে ছিলেন আবগারি দফতরের রঘুনাথগঞ্জের ওসি প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, খবর ছিল বংশবাটিতে মদের ভাটি ফের সক্রিয় হয়েছে। তার ভিত্তিতেই এদিন অভিযান চালানো হয়। বেশ কিছু চোলাইয়ের ভাটি নষ্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “৫৫ লিটার চোলাই সহ মোট ৭৫লিটার মদ সহ কিছু মদ তৈরির সরঞ্জাম আটক করা হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হয়নি।”