Ranaghat Robbery

মোটরবাইকে ছ’জন, দু’জন এসেছিল ট্রেনে 

কল্যাণীর ‘বি’ ব্লক থেকে রানাঘাটের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। সেখান রানাঘাট শহরে আসার জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও মদনপুর-শিমুরালি হয়ে একটি গ্রামীণ রাস্তা রয়েছে।

Advertisement

সুদেব দাস

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:২২
Share:

ডাকাতির দৃশ্য ধরা পড়ে সিসিটিভিতে। —ফাইল চিত্র।

এক মোটরবাইকে তিন জন চড়লে পুলিশ পথ আটকাতে পারে। ভেস্তে যেতে পারে ডাকাতির যাবতীয় পরিকল্পনা। তাই তিনটি মোটরবাইকে দু’জন করে চেপে কল্যাণীর ভাড়াবাড়ি থেকে রানাঘাটের সেন্ট্রাল গেট লাগোয়া নামি সংস্থার গয়নার দোকানে এসেছিল ছয় ডাকাত। বাকি দুই দুষ্কৃতী রানাঘাটে পৌঁছেছিল ট্রেনে। নিয়মমাফিক টিকিট কেটেই তারা ট্রেনে চেপেছিল যাতে টিকিট পরীক্ষকের হাতে ধরা পড়ে নাস্তানাবুদ হতে না হয়। ধৃত পাঁচ ডাকাতকে জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন রানাঘাট পুলিশ জেলার আধিকারিকেরা।

Advertisement

কল্যাণীর ‘বি’ ব্লক থেকে রানাঘাটের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। সেখান রানাঘাট শহরে আসার জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ছাড়াও মদনপুর-শিমুরালি হয়ে একটি গ্রামীণ রাস্তা রয়েছে। তবে জাতীয় সড়ক হোক কিংবা গ্রামীণ পথ, দুই জায়গাতেই মাঝে-মধ্যে পুলিশ নাকা চেকিং চালায়। অনেক সময় এক মোটরবাইকে তিন জন চড়লে বা হেলমেট না থাকলে বাইক ধরে নথিপত্র পরীক্ষা করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় বাইক আরোহীদের। পুলিশের দাবি, সেই কারণেই আট জন তিনটি মোটরবাইকে আসার ঝুঁকি নেয়নি বলে জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সড়ক ও রেলপথে শেষ দেড় মাসে বেশ কয়েক বার কল্যাণী থেকে রানাঘাটে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। দুপুর ৩টে নাগাদ মিশন রোড যে দিনের অন্য সময়ের তুলনায় কিছুটা ফাঁকা থাকে, সেটাও তাদের অজানা ছিল না। প্রশ্ন উঠছে, রানাঘাট শহরে যাতায়াত নিয়মিত যাতায়াত করে তারা ডাকাতির কৌশল ছকলেও তাদের গতিবিধি সম্পর্কে পুলিশ বা গোয়েন্দাদের কাছে কেন আগাম খবর ছিল না? আবার বিহারের ওই দুষ্কৃতীরা মুঙ্গেরের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেখানে মাস দেড়েক ঘাঁটি গেড়েছিল, ঘটনাচক্রে সেই কল্যাণী শহরেই রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপারের দফতর।

Advertisement

গুলির লড়াইয়ে দুই দুষ্কৃতীকে ঘায়েল করে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করায় অনেকেই যেমন পুলিশের প্রশংসা করছেন, সে রকম পুলিশের ‘সোর্স’ তথা গোয়েন্দা বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নও এড়ানো যাচ্ছে না।। কী ভাবে ঘটনাস্থল থেকে তিন ডাকাত পুলিশের নজর এড়িয়ে পালাল, তা-ও জেলা পুলিশকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সোমবার রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কে কন্নন বলেন, "সমস্ত দিকই গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পলাতক দুষ্কৃতীদের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চলছে। বিহার পুলিশের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন