তৃণমূলের দাদাগিরির সাক্ষী থাকল সুতি-২ ব্লকের কর্মীরা। বুধবার বিকেলে সুতি-২ ব্লক অফিসে ঢুকে খাদ্য দফতরের এক পরিদর্শককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আনিকুল ইসলাম, তাঁর ভাই, উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রবিকুল ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মাসাদুল ইসলাম-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনার পরপরই সুতি থানায় ওই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত পরিদর্শক ভাস্কর রায়। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত কাউকেই পাকড়াও করতে পারেনি। ওই আধিকারিকের অফিসে ঢুকে মিনিট ১৫ ধরে বেধড়ক পেটায়। শাসকদলের নেতাদের এই রকম দাদাগিরিতে সরকারি কর্মীরা ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন। তাঁরা কেউ খুলতে চাইছেন না। এমনকী, প্রহৃত ভাস্করবাবুও মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
জঙ্গিপুরের খাদ্য দফতরের মহকুমা আধিকারিক প্রসেনজিৎ সাহা বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ সুতির বিধায়ক তৃণমূলের ইমানি বিশ্বাস অবশ্য বলেন, ‘‘এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করতে বলেছি।’’ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আনিকুল ইসলাম অবশ্য এই ঘটনাকে জনরোষ বলে ব্যাখা করছেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই আধিকারিক নতুন রেশন কার্ড ইস্যু করতে অহেতুক বিলম্ব করেন। তাই সাধারণ মানুষ রেগে গিয়ে এ দিন ওই আধিকারিককে মারধর করেছেয় আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হচ্ছে।’’