র্যাফটিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় তিস্তায় ডুবে মৃত্যু জওয়ানের। —নিজস্ব চিত্র।
তিস্তায় র্যাফটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এক সেনা জওয়ানের। সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম সীমানায়, কালিম্পঙের তারখোলায়। মৃত জওয়ানের নাম রাজশেখর। তিনি থার্টি থ্রি কোরের ১৯১ আর্টিলারি রেজিমেন্টের ল্যান্সনায়েক পদে নিযুক্ত ছিলেন। শিলিগুড়ি সংলগ্ন ব্যাংডুবি সেনা ছাউনিতে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সেনা সূত্রে খবর, নতুন বছরের গোড়়ায় জাতীয় পর্যায়ের একটি খেলায় অংশ নেবেন ইস্টার্ন কমান্ডের সদস্যেরা। সেই কারণেই তিস্তা। র্যাফটিং প্রশিক্ষণ শুরু করেন ইস্টার্ন কমান্ডের থার্টি থ্রি ত্রিশক্তি কোরের জওয়ানেরা। রবিবার নির্বিঘ্নে প্রশিক্ষণ শেষ হলেও সোমবার দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সোমবার সিকিমের বারদাং থেকে তিস্তা নদীতে র্যাফটিং করতে নেমেছিল ১৬ জন জওয়ানের একটি দল। ওই দলে ছিলেন রাজশেখরও। র্যাফটিং করতে করতে জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গ-সিকিম সীমানার তারখোলায় পৌঁছে যান। সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। তারখোলার পুরনো সেতুর একটি ভাঙা অংশ নদীতেই পড়েছিল। শীতে তিস্তার জলস্তর কমে যাওয়ায় ওই ভাঙা অংশের একটি রড র্যাফটে আটকে যায়। জলে পড়়ে যান রাজশেখর। সঙ্গে সঙ্গে খরস্রোতা নদীতে তলিয়ে যান তিনি।
রাজশেখরকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে জওয়ানরা। তল্লাশির জন্য নামানো হয় অতিরিক্ত আরও একটি র্যাফটিং দল। তিস্তার স্রোতের কারণে উদ্ধারকাজে সমস্যা দেখা দেয়। তার পর তারখোলার লোহার সেতু থেকে দড়ি দিয়ে র্যাফট দু’টিকে আটকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। সেতু থেকেই দড়ির সাহায্যে ওই সেনার দেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর রাজশেখরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি সেনার আধিকারিকেরা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কালিম্পঙের জেলাশাসক কুহুক ভূষণ বলেন, “তিস্তা নদীতে সেনা জওয়ানেরা র্যাফটিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে। তাতে এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিষয়টি সেনার তরফেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”