Hanskhali gang rape and Murder case: সরাসরি: হাঁসখালি-কাণ্ডে পুলিশের কাছে এফআইআর কপি চাইল সিবিআই
মঙ্গলবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে নজর রাখবে আদালত।
নিজস্ব সংবাদদাতা
হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
মূল ঘটনা
হাঁসখালির নির্যাতিতার বাবা-মা অসুস্থ, ভর্তি হাসপাতালে
হাঁসখালির মৃত তরুণীর বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে।
রাত ন’টায় ধর্ষণ করে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে দীপঙ্কর, ফাঁস অডিয়ো ক্লিপ
সে দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তৃণমূল নেতার ভাগ্নে দীপঙ্কর পোদ্দার ধর্ষণ করে। তাঁর সঙ্গে ছিল আরও এক ব্যক্তি। ফাঁস হল বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে ফোন কথোপকথনে মনে করা হচ্ছে, ফোনের দু’প্রান্তের বক্তাও সে দিন ব্রজগোপালের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। তাঁদের একজনকে বলতে শোনা যায়, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দীপঙ্কর। তার সঙ্গে আরও এক জন ছিল। পরে মেয়েটির মায়ের কাছে তাকে দিয়ে আসা হয়।
হাঁসখালি-কাণ্ডে এ বার সত্যসন্ধানী কমিটি গড়ল বিজেপি
বগটুইয়ের পর এ বার হাঁসখালি ধর্ষণের ঘটনাতেও সত্যসন্ধানী কমিটি তৈরি করল বিজেপি। কমিটির পাঁচ সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত রিপোর্ট দেবে দিল্লি বিজেপি। কমিটিতে রয়েছেন ৫ বিজেপি নেত্রী।
হাঁসখালির ঘটনায় আটক হলেন এক দোকানদার!
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে নির্যাতিতাকে মাদক খাওয়ানোর অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্থানীয় কলাতলা মোড়ে একটি মনোহারি দোকানের মালিক রসময় বিশ্বাসকে মাদক সরবরাহের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
হাঁসখালির ঘটনা দ্বিতীয় নির্ভয়া কেস, বললেন শুভেন্দু
মঙ্গলবার হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়িতে যান বিজেপি নেতারা। মিছিলের সামনে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, হাঁসখালির ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল নেতারাই। অভিযুক্ত সবাই শাসকদলের নেতা বলে অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবিও করেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা হওয়া উচিত! মা বলছে আমার মেয়ে গর্ভবতী নয়। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আগামিকাল এখানে এসে গলায় গামছা দিয়ে পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’
রাজ্যের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে পুলিশের কেস ডায়েরি মিলছে না, প্রশ্ন আদালতের
হাঁসখালি মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের কেস ডায়েরি এবং আদালতে দেওয়া রাজ্যের বয়ান এক নয়। আদালতে রাজ্য জানিয়েছিল, নির্যাতিতার দেহ কোনও শ্মশানে পোড়ানো হয়নি। মৃত্যুর শংসাপত্র নেই। কিন্তু কেস ডায়েরিতে রয়েছে, দেহ সৎকার হয়েছে শ্যামনগর-অতীরপুর শ্মশানঘাটে।
নদিয়া ধর্ষণ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের
নদিয়ার হাঁসখালি ধর্ষণ মামলার তদন্তও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত হবে। তা ছাড়া আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট দেবে সিবিআই। পাশাপাশি আগামী ২ মে-র মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানায় আদালত।