কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেড়িয়ে এল কেউটে। দিনকয়েক আগে শিবনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে এলাকার লোকজন স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এ বার ওই প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধাভোগী ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল।
মঙ্গলবার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পূরবী দে বিশ্বাসকে কাছে এমনই অভিযোগ উগরে দিলেন শিবনগর হাইস্কুলের কয়েকজন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা তুলতে গেলে ওই প্রধান শিক্ষক হাজার টাকা দাবি করেন। এ দিন দুপরে স্কুলে এসে পূরবীদেবী এমন অভিযোগ পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মিড-ডে মিল, ছাত্র ভর্তি, কন্যাশ্রীর— নানা ক্ষেত্রে ওঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। স্কুল থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছি। প্রধান শিক্ষকের ঘর ‘সিল’ করা হয়েছে।’’ দিন দু’য়েক ধরে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এলাকার লোকজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে স্কুলে আসতে হবে। শুনতে হবে তাঁদের অভিযোগ। শেষমেশ সেই দাবি মেনে এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ স্কুলে আসেন তিনি। তাণকে সামনে পেয়ে গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। ছাত্রীরা জানায়, কন্যাশ্রীর টাকা পেতে ওই প্রধান শিক্ষককে হাজার টাকা দিতে হয়েছে। সীমা, মৌসুমি, হিরা খাতুন ও সুরাইয়া সারমিন বিষয়টি লিখিত ভাবে জানায় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলামকে পূরবীদেবী তাঁকে ফোন করলে তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে সাদিখাঁড়দেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।