খাদানের কাজ শুরু হলে ধুলোয় ভরে চারপাশ। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়।
বালিয়াঘাটি ঘাট থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। দেড় কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে হেঁটেও পথ চলা দায়। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে দু’দুটি পঞ্চায়েত বোর্ড এসেছে। কিন্তু রাস্তা সারাইয়ের বিষয়ে কেউ নজর দেয়নি। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত কিছু ভাবছে?
জাহাঙ্গির শেখ, বালিয়াঘাটি
• রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ এটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে তা সংস্কার করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে বিডিও’র সঙ্গে আলোচনা করে রাস্তাগুলিকে কোনও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা তা দেখছি।
পানীয় জলের পাইপ লাইন বেশির ভাগ গ্রামেই এখনও গিয়ে পৌঁছয়নি। শঙ্করপুর ভিডিওতলা থেকে বড় মসজিদ পর্যন্ত গিয়ে পাইপ লাইন গ্রামে ঢোকেনি। এত ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা, অথচ পরিশ্রুত পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। নলকূপের জলে এত মাত্রায় আয়রন ও আর্সেনিক যে তা ব্যবহার করা যায় না। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত কি ব্যবস্থা নিতে পারে না?
বাসির শেখ, গরিবটোলা
এই জল প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই সেটি চালু করায় সমস্যা হয়েছে। বহু বাসিন্দা পানীয় জল পাচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজামপুর থেকে কাশিমনগর হয়ে গাজিপুর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এত শোচনীয় যে বলার নয়। বহুবার এর আগের পঞ্চায়েত কর্তাদের বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেননি তাঁরা। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলে। গ্রাম পঞ্চায়েত কি এ ব্যাপারে কিছু ভাবছে?
কালাম শেখ, নিজামপুর
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা, প্রসূতি ছোটে শহরেযাঁরা পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা যদি সময় মতো ভাবতেন তা হলে রাস্তাগুলির এত দুরবস্থা হত না। গ্রাম পঞ্চায়েতের যা টাকা রয়েছে তাতে সব রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয়। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সাহায্য নিয়ে রাস্তা সংস্কারের চেষ্টা করব।
• এলাকায় বেশ কয়েকটি পাথরের খাদান আছে। দিনের বেলায় সেখান দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। পাথরের গুঁড়ো ওড়ে। শ্বাসকষ্ট বাড়ে। দূষণ রোধে পঞ্চায়েত কী কোনও উদ্যোগ নিতে পারে না?
বাবলু শেখ, গাজিপুর
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা, প্রসূতি ছোটে শহরেএমন কোনও উপায় নেই যাতে আমি সেগুলি রাতারাতি বন্ধ করে দিতে পারি। এ সব দেখার দায়িত্ব পুলিশ ও প্রশাসনের। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদই বা কি করছে। যতদূর জানি, স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পাথরের গুঁড়ো যাতে না ওড়ে তার জন্য নিয়মিত জল দিয়ে তা ভেজানো হবে। ক’দিন হয়েছিল। এখন তাও বন্ধ।
• সাজুর মোড় থেকে কাশিমনগর পর্যন্ত প্রধান রাস্তাটি ৮ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। সংস্কার একবার করা হলেও তাতে পুকুর চুরি হয়েছে। বহু জায়গায় পিচ পর্যন্ত উঠে গিয়েছে। ফলে চলাচলের অযোগ্য। পঞ্চায়েত অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক।
সানিউল শেখ, গাজিপুর
সমস্যা ফান্ডের। এলাকার বেশিরভাগ রাস্তারই একই সঙ্গিন দশা। তা সারাবার মতো ফান্ড আমার হাতে নেই। আমি এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ ও বিডিওকে বলব।
• গ্রামে কোনও স্কুল নেই। একটা শিশু শিক্ষাকেন্দ্র আছে। অথচ আশপাশে সব গ্রামে প্রাথমিক স্কুল আছে। এলাকার শিক্ষার হার খুব ভাল নয়। তাই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে আগে শিক্ষার উপর জোর দেওয়া দরকার গ্রাম পঞ্চায়েতের।
সাইদুর রহমান, ভোলানাথপুর
হ্যাঁ, কাশিমনগর শিক্ষায় অনেকটাই পিছিয়ে। একটা স্কুল করলেই সমস্যা মিটবে তা নয়। যে স্কুলগুলো আছে সেগুলিকে ঠিক মতো চালানো, সেগুলিতে নজরদারি করা দরকার। শিক্ষা দফতর থেকে নিয়মিত স্কুলগুলি পরিদর্শনও হয় না। শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেন কিনা, মুল্যায়নের কি অগ্রগতি ঘটল তা দেখা হয় না। সরকারি স্কুলগুলির উপর আস্থা কমছে বলেই বহু বেসরকারি স্কুল তৈরি হয়েছে। আমি শিক্ষা দফতরের স্থানীয় পরিদর্শকের সঙ্গে আলোচনা করব।
• এলাকায় একমাত্র প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ‘বাজে গাজিপুর’ গ্রামে। ৬টি শয্যা নিয়ে তা উদ্বোধন করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। বছর তিনেকের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। এখনও তা বন্ধ। তাই কী প্রসূতি কী রোগী সবাইকে ছুটতে হয় শহরে। দু’দিন চিকিৎসক আসেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা। আর সন্ধে নামলে শুরু হয় অসামাজিক আড্ডা। ব্যবস্থা নিক গ্রাম পঞ্চায়েত।
প্রশান্ত প্রামাণিক, গাজিপুর
এক সময় ৬ শয্যার স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু ছিল। এখন টিম টিম করে বহির্বিভাগ চলছে। আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দরকার। ঠিক মতো চিকিৎসক, নার্স, কর্মীরা আসেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি কী অবস্থায় আছে, অন্তর্বিভাগ চালু করতে কী দরকার তা নিয়ে কথা বলব ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে। অন্তর্বিভাগ চালু না করা গেলেও যাতে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সেটি খোলা থাকে এবং প্রসূতিদের প্রসব করানোর ব্যবস্থা চালু করা যায় তা দেখব।
• এলাকায় বহু বেসরকারি স্কুল গজিয়ে উঠেছে। শঙ্করপুর ভিডিওতলাতেই ৫টি বেসরকারি স্কুল। বেশিরভাগ গ্রামে সরকারি স্কুল থাকা সত্ত্বেও ছেলে মেয়েদের সেখানে ভর্তি করতে নারাজ অভিভাবকেরা। সরকারি স্কুলে শিক্ষকরা বাইরে থেকে আসায় সময়ে স্কুল শুরু হয় না। পড়াশুনোর মান খুবই খারাপ।
বেলা ১টাতে মিড-ডে মিল খাওয়া শেষ হলে স্কুল ছুটি। সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান ও পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে জোর দিক পঞ্চায়েত।
মহম্মদ সাহাবুদ্দিন, বালিয়াঘাটি
শিক্ষা না থাকলে আমরা এগুতে পারব না। বেসরকারি স্কুল বাড়ুক, কিন্তু সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন দরকার। শিক্ষকেরা শুধু চাকরিজীবী নন, তাঁদের শিক্ষার প্রতি দরদ থাকতে হবে। সরকারি স্কুলের প্রতি আগ্রহ কমছে কেন এটা শিক্ষকদেরই ভাবতে হবে। স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে একদিন বসব আমরা।
• শিক্ষা নিয়ে আগ্রহ যথেষ্ট বেড়েছে তা বোঝা যায় একাধিক বেসরকারি স্কুলের স্থাপনা। কিন্তু সেই আগ্রহকে ধরে রাখার মত সুযোগ ও পরিবেশের অভাব রয়েছে এলাকায়। বহু সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। শিক্ষার উপর জোর দিতে কি চিন্তা করছে গ্রাম পঞ্চায়েত?
কৃষ্ণপদ দাস, বিকলনগর
শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এটা পঞ্চায়েতের বিষয় নয়। তবে শিক্ষার উন্নয়নে যা সাহায্য করার গ্রাম পঞ্চায়েত তা করবে।
• বাল্যবিবাহ একটা বড় সমস্যা এই এলাকায়। খুব সম্প্রতি তিনটি ক্ষেত্রে নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে। এর আগে নিজের বিয়ে বন্ধ করে এক কিশোরী রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও পেয়েছেন এই এলাকা থেকে। আমি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করি। বাল্যবিবাহ রুখতে গিয়ে বহুবার প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এলাকায় শিক্ষা সচেতনতা গড়ে তোলা যায়নি। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত কি আরও সক্রিয় হতে পারে না?
সৌভাগ্যকুমার দাস, কাশিমনগর
শিক্ষার প্রসার না হলে সচেতনতা আসবে না। তবে বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমাদের আছে আসুক। কোথায় কি সমস্যা জানাক। বাল্যবিবাহ কমাতে রাজ্য সরকার নানা ভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে। বাবা মাকেও ভাবতে হবে ছোট বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার কুফলের কথা। পঞ্চায়েতও এ নিয়ে সচেষ্ট রয়েছে।
• মসজিদের পাশে একটি বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরের জল এতটাই দূষিত ও আবর্জনায় ভরা যে এলাকায় মশার উপদ্রবে টিকতে পারা যায় না। আশপাশের যত প্লাস্টিক এসে পড়ছে পুকুরের জলে। সবচেয়ে বিপদের হল একদম রাস্তার পাশে এই পুকুরটিও ঘেরা নেই । ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা সেখানে খেলাধুলো করছে। যে কোনও মুহূর্তে জলে পড়ে গিয়ে বিপদ ঘটতে পারে। ব্যবস্থা নিক পঞ্চায়েত।
মদিন শেখ, কাশিমনগর
প্লাস্টিক একটা বিরাট সমস্যা। ওই পুকুরটিতে পাট পচানো হয়। লোকালয়ের মধ্যেকার যত আবর্জনা সব পড়ছে পুকুরে। এটা বাসিন্দাদের বুঝতে হবে কোনটা খারাপ, কোনটা ভাল। তবে এই মুহূর্তে ফান্ড নেই যাতে রাস্তা বরাবর পুকুরটিকে ঘিরে দেওয়া যায়।
• এত বড় একটা গ্রাম পঞ্চায়েত। ১৭টিরও বেশি গ্রামে ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। অথচ তাদের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রসূতিদের নিয়ে যেতে হয় ৮ কিলোমিটার দূরে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অথচ জমি আছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। ঘরও আছে। কিন্তু চিকিৎসক আসে না বললেই চলে। অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বড়জোর থাকেন। অবিলম্বে চালু করা হোক অন্তর্বিভাগ। যতদিন তা না হচ্ছে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত খুলে রাখার ব্যবস্থা করতে সক্রিয় হোক গ্রাম পঞ্চায়েত, যাতে অন্তত দিনের বেলায় চিকিৎসাটা পেতে পারি।
এসরাইল শেখ, শঙ্করপুর
স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা ভাবছি। বাজে গাজিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি যাতে সারা দিন খোলা থাকে তা নিয়ে কথা বলব স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে। মানুষের উপকারের জন্যই এটা দরকার।
• জলের অভাব প্রচণ্ড। পাইপ লাইন সামান্য কিছু এলাকায় গিয়েছে। রাস্তার ধারে ধারে গোটা গ্রামে ৬-৭ টার বেশি ট্যাপ নেই। জল সরবরাহ করার কোনও নির্দিষ্ট সময়ও মানা হয় না। জল না চললে দেখভালের কর্মীকে গিয়ে ডেকে এনে জল চালাতে হয়। সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিক গ্রাম পঞ্চায়েত।
অরূপ সাহা, দক্ষিণপাড়া শঙ্করপুর
জল সরবরাহ চালু হয়েছে অসমাপ্ত অবস্থায়। সর্বত্র পাইপলাইন যায়নি। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী দফতর এটি চালায়। আগে চালুর ব্যবস্থা হোক, ট্যাপ বসাতে অসুবিধে হবে না।
• কাশিমনগরে যে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে পানীয় জল তার মধ্যে প্রধান। ২৫ শতাংশ বাসিন্দাও কাশিমনগরে পানীয় জল পায় না। অথচ ২০ লিটারের পানীয় জল দেদার বিক্রি হচ্ছে এলাকায়। তাই কিনে খাচ্ছে যাদের সামর্থ্য আছে। কিন্তু আমরা কোথায় যাব?
আব্দুল বারি, কাশিমনগর
বহু লোক পানীয় জল পান না। বহু লোক কিনে এনে জল খান। রাজ্য সরকার মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। এ ব্যাপারে কথা বলব সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে।
জল সরবরাহ কেন্দ্রের পাশেই আমার বাড়ি। অথচ জলের জন্য কম লড়াই করতে হয় না আমাদের। পুকুরে জল নেই। পানীয় জলের ট্যাপ নেই আশপাশে। ফলে আমরা না পাচ্ছি খাবার জল, না পাচ্ছি স্নানের জল। পঞ্চায়েত অন্তত আরও কিছু ট্যাপ দিক গ্রামে, যাতে সব মানুষ সে জল পেতে পারেন। দু’জন কর্মী আছেন পাম্প দেখভাল করার জন্য। কিন্তু জল ছাড়ার কোনও সময় নেই। কোনও কোনও দিন সে জল পাচ্ছিও না।
আয়েশা বিবি, বাজে গাজিপুর
জলের সমস্যা মেটাতে ভাবনা চিন্তা চলছে। দু’চার হাজার টাকার ব্যাপার নয়। আমাদের নজরে বিষয়টি আছে।
• জলের পাইপ খোলা অবস্থায় রয়েছে বহু জায়গায়। ফলে জল এলে কয়েক ঘণ্টা ধরে সেই পাইপ দিয়ে অনবরত জল পড়ে। বন্ধ করার জন্য কোনও ট্যাপ লাগানো হয়নি বহু এলাকায়। ফলে জলের অপচয় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। অথচ জল চেয়েও পাচ্ছে না অনেকেই। জলের এই অপচয় বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আজিমুদ্দিন শেখ, দিয়ারাপাড়া গরিবটোলা
জল অপচয় কোথায় হচ্ছে, কেন হচ্ছে আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। দরকার হলে ট্যাপ বসিয়ে জল অপচয় বন্ধ করা হবে।
• ফিডার ক্যানালের ধারে নদীর মাটি কেটে নিচ্ছে কিছু লোক। ফলে অ্যাফ্লেক্স বাঁধের রাস্তা বিপদজনক হয়ে পড়েছে। কোনও নজরদারি নেই। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিতে পারছে
না কেন?
নইমুদ্দিন শেখ, বালিয়াঘাটি
বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব। সে রকম হলে পুলিশকে বলব। সরকারি সম্পদ নষ্ট করে কিছু করতে দেওয়া হবে না।
• সন্ধ্যের পর রোজ লোডশেডিং। দিনের বেলায় তিন, চার ঘণ্টা দফায় দফায় বিদ্যুৎ থাকছে না। বাড়ির পাশে ৬০ ফুট মাটির রাস্তা এখনও মাটির কাঁচা। বর্ষাকালে বাড়ি থেকে বেরোনো যায় না।
উজ্জ্বল প্রামাণিক, গাজিপুর
বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই বলে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে। এসব স্থানীয় যন্ত্রের গোলমাল। সব জায়গাতেই এ রকম ত্রুটি হয়। তবু কথা বলা হবে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে।