করিমপুরের মাঠে পাহাড়ের অতিথি

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার করিমপুর ২ ব্লকের পিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দারা মাঠের মধ্যে শকুনটিকে দেখতে পান। সেটির ঠোঁট দিয়ে লালা গড়াচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, অসুস্থ। এর পরেই পাখিটিকে বেঁধে ফেলেন গ্রামবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে ছবি। শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পাখি উদ্ধার করেন।

Advertisement

সুদীপ ভট্টাচার্য

করিমপুর শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

খাঁচাবন্দি: উদ্ধার হওয়া হিমলয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন। কৃষ্ণনগরে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

হিমালয়ের আনাচে কানাচে দেখা যায় তাদের। সেই হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির একটি শকুন পাওয়া গেল করিমপুরের মাঠে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে সেটি উদ্ধার করেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার করিমপুর ২ ব্লকের পিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দারা মাঠের মধ্যে শকুনটিকে দেখতে পান। সেটির ঠোঁট দিয়ে লালা গড়াচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, অসুস্থ। এর পরেই পাখিটিকে বেঁধে ফেলেন গ্রামবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে ছবি। শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পাখি উদ্ধার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাখির ছবি দেখে পিয়ারপুরে যান ফাজিলনগরের বাসিন্দা আব্দুর রউফ আনসারি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুর্শিদাবাদের আমতলার বাসিন্দা আর এক পক্ষীপ্রেমী আবু ওবাইদুল্লা। আব্দুরই বিষয়টি বন দফতরকে জানান। বনকর্মীরা সেটিকে উদ্ধার করে বুধবার কৃষ্ণনগর ডিএফও অফিসে নিয়ে যান। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাখিটি আসলে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন। নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের ডিএফও রানা দত্ত বলেন, ‘‘এখানে এখন আর শকুন দেখতে পাওয়া যায় না। নাকাশিপাড়ার বানগোরিয়ার জঙ্গলে আগে শকুনের একটা দল ছিল। এখন একটাও নেই। ২০০৫ সালে একটা শকুন উদ্ধার হয়েছিল। তার পরে আর শকুনের দেখা মেলেনি।’’ প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পাহাড়ি শকুনটিকে কৃষ্ণনগরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

সিঙ্গুর কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেবজ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই প্রজাতির শকুনের বাস তিব্বতের প্রায় চার হাজার ফুট উঁচু মালভূমি অঞ্চলে। সেখানে তারা দল বেঁধে বাস করলেও ছোটবেলায় এরা একা একা বহু দূরে উড়ে যায়। তার পরে আবার বাসায় ফিরে আসে।’’ তাঁর ধারণা, এ ভাবেই উড়তে উড়তে পথ ভুলে বা অসুস্থতার কারণে করিমপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের মাঠে এসে পড়েছে পাহাড়ি অতিথি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন