তৃণমূলেই আশ্রয়ের খোঁজে হুমায়ুন কবীর

মাস কয়েক আগে ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপি ‘অচ্ছুত’ নয়। তৃণমূলে ‘যথাযথ’ সম্মান না পেলে দলবদলের কথাও ভাবতে পারেন তিনি। ক্রমাগত দল বিরোধী মন্তব্য করায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে সম্প্রতি যোগাযোগ রাখছিলেন তৃণমূলে কার্যত একঘরে হয়ে পড়া আর আরও এক নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রেজিনগর শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০২
Share:

বিকলনগরে হুমায়ুন কবীর।

মাস কয়েক আগে ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপি ‘অচ্ছুত’ নয়। তৃণমূলে ‘যথাযথ’ সম্মান না পেলে দলবদলের কথাও ভাবতে পারেন তিনি।

Advertisement

ক্রমাগত দল বিরোধী মন্তব্য করায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে সম্প্রতি যোগাযোগ রাখছিলেন তৃণমূলে কার্যত একঘরে হয়ে পড়া আর আরও এক নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে।

তবে বেফাঁস মন্তব্যে ভাঁটা পড়েনি। সেই তালিকায় শেষ সংযোজন ছিল, দলনেত্রী এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য। ফলে তৃণমূলে তাঁর ভবিষ্যতের উপরে পেরেক পুঁতে দিতে বিলম্ব করেনি দল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরকে। শুক্রবার, নিজের ‘বিদ্রোহী’ ভাবমূর্তি মুছে সেই তৃণমূলে ফিরে যাওয়ারই ইচ্ছা প্রকাশ করেন হুমায়ুন। যাকে জেলা তৃণমূলের একাংশ কটাক্ষ করছেন, ‘মাথা মুড়িয়ে সেই তো ফেরার আর্জি জানাতে হল’ বলে।

Advertisement

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ স্থির করতে, এ দিন নিজের পুরনো বিধানসভা এলাকা, রেজিনগরের বিকলনগর মাঠে অনুগামীদের নিয়ে সভা ডেকে ছিলেন হুমায়ুন। তাঁদের মত নিয়েই স্থির করতে চেয়েছিলেন রাজনীতির কোন রং গায়ে তুলবেন তিনি।

মাঠ উপচে পড়া ভিড়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ৪ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ অন্তত ৩৭ জন বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্য। যাঁদের সংখ্যাগরিষ্ঠই তৃণমূলের। এ দিন তাঁদের মধ্যে থেকেই উঠে এল তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ। কেউ বা বললেন, ‘‘আমরা দলবদ্ধ ভাবে নেত্রীর কাছে আপনার বহিষ্কারের ফতোয়া তুলে নিতে অনুরোধ করব।’’ কারও বা মত, ‘‘জেলা তৃণমূলে হাল ফেরাতে পারেন এক মাত্র আপনিই।’’ যা শুনে আপ্লুত হুমায়ুনও বলে বসলেন, ‘‘মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আমারও হয়েছিল। তা মেনে নিয়ে ক্ষমা চেয়েছি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে।’’ পাল্টা প্রশ্নও তুলছেন, ‘‘২০১৬ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সদস্যপদ রয়েছে, তার পরেও আমি দলে নেই , কী করে হয়?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন