Murder

প্রথম স্ত্রীকে খুন স্বামীর? জামাইয়ের যে কতগুলি বিয়ে তা আজও জানি না! বলছেন মৃতের মা

প্রথম স্ত্রীকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার করিমপুরের হোগলবেড়িয়া এলাকায়। ওই কাণ্ডে পুলিশ মূল অভিযুক্ত এবং তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৮:২৯
Share:

প্রথম স্ত্রীকে গলা টিপে খুন। —প্রতীকী চিত্র।

প্রথম স্ত্রীকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার করিমপুরের হোগলবেড়িয়া এলাকায়। ওই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত এবং তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৩ সালে করিমপুরের বাসিন্দা রোকেয়া খাতুন (৩৬)-এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হোগলবেড়িয়ার বাসিন্দা আওয়াল পিরের। তাঁদের দু’টি মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে বছরখানেক আগে। রোকেয়ার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পেশায় ট্রাক্টরচালক আওয়াল বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যে একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় ২০০৭ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আওয়াল। এর পর ২০০৯ সালের শেষ দিকে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার ডিগ্রিচরের এক তরুণীকেও বিয়ে করেন তিনি। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন আওয়াল। মাস পাঁচেক আগে তিনি ফিরেছিলেন তাঁর গ্রাম দুর্লভপুরে, প্রথম স্ত্রীর কাছে। নিহত রোকেয়ার পরিবারের অভিযোগ, সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীকে আনার জন্য জোরাজুরি করছিলে আওয়াল। কিন্তু তা মানেননি প্রথম স্ত্রী রোকেয়া। সে জন্য মঙ্গলবার রাতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার ভোরে রোকেয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেই সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আওয়ালের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে রোকেয়ার পরিবার।

পুলিশ রোকেয়ার দেহ পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রোকেয়ার মা হাফিজা বিবি বলেন, ‘‘জামাইয়ের কতগুলি বিয়ে আমরা আজও জানি না। মাঝে মাঝেই নতুন বউ নিয়ে সে বাড়িতে হাজির হত। বিয়ের পর থেকে অশান্তির শুরু। এক দিনও সুখ পায়নি আমার মেয়ে। ওকে খুন করেছে ওর স্বামী।’’

Advertisement

রোকেয়ার বাবা করিম শেখ বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শেষ বারের মতো কথা হয়েছিল মেয়ের সঙ্গে। ও জানিয়েছিল, আওয়াল তাকে মারধর করেছে। তাই বলে যে একেবারে মেরে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি!।’’

রোকেয়ার পিসি মিনু শেখের বক্তব্য, ‘‘আমরা তো প্রথমে মেনে নিয়েছিলাম যে আমাদের মেয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে। বাড়িতে এনে দেখি ওর বুকে, গলায় এবং মাথায় একাধিক কালশিটে দাগ। বোঝা যাচ্ছে যে খুন করা হয়েছে। ওকে আমরা কবর দেব ভেবেছিলাম। এ সব দেখে আমরা পুলিশের কাছে যাই।’’

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশাণু রায় বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। মৃত গৃহবধূর স্বামী আওয়াল পির এবং তাঁর শ্বশুর আশরফ পিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন