Man Booked For Abetment in Murshidabad

বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বধূর, স্ত্রীর হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট দেখে তাঁর ‘প্রেমিকের’ বিরুদ্ধে অভিযোগ স্বামীর

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বধূকে। তাঁকে বহরমপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চিকিৎসকেরা জানান, বিষপান করে অসুস্থ হয়েছেন রোগিণী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ২১:১০
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ‘প্রেমিক’কে দায়ী করলেন স্বামী। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের ঘটনা। মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় বধূকে। তাঁকে বহরমপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। চিকিৎসকেরা জানান, বিষপান করে অসুস্থ হয়েছেন রোগিণী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরে ওই বধূকে একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তার পরেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বধূর প্রেমিকের দিকে আঙুল তোলেন মৃতার স্বামী।

মৃতার স্বামী অচিন্ত্য বিশ্বাসের দাবি, তাঁর স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের প্ররোচনাতেই আত্মঘাতী হয়েছেন স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই যুবক দীর্ঘ দিন ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। আমার স্ত্রীকে বিয়ে করবে বলেছিল। নানা প্রলোভন এবং অজুহাতে দিয়ে স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা, গয়না ইত্যাদি আদায় করে।’’ কিন্তু গত কয়েক দিন হল স্ত্রীর সঙ্গে ‘প্রেমিকের’ সম্পর্কের অবনতি হয় বলে দাবি স্বামীর। তিনি জানান, তাঁদের দাম্পত্য অশান্তি হয়েছিল। তখন স্ত্রী জানান, তাঁকে ঠকিয়েছেন প্রেমিক। তিনি টাকা-গয়না ফেরত চেয়েছিলেন। তখন ওই যুবক নানা রকম ভাবে হুমকি দেন। স্বামীর এ-ও দাবি, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর মোবাইলে ‘হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট’ দেখে তিনি স্ত্রীর পরকীয়া এবং প্রেমিকের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন। পুলিশের কাছে সে সব তথ্যই দিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাট থেকে বেশ কিছু প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘মৃতার শারীরিক অবস্থা ও পারিপার্শ্বিক ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা এবং অভিযুক্ত একই গ্রামের বাসিন্দা। পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগও সামনে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement