স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে দীপঙ্কর বিশ্বাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম উমা বিশ্বাস (১৯)। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে তাঁর দেড় বছরের সন্তানও। কৃষ্ণগঞ্জের বানপুরের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে পরিবারের অমতে ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন দীপঙ্কর ও উমা। দু’জনেরই বাড়ি বানপুর এলাকায়। দীপঙ্করের পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি। উমাকে বাড়িতে ঢুকতেও দেয়নি। উমা তাঁর স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। বছর দেড়েক আগে তাঁদের পুত্রসন্তান হয়।
উমা শ্বশুরবা়ড়িতে যেতে না পারলেও দীপঙ্কর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত। তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হতো। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্কর সব্জির ব্যবসা করত। সে প্রায় প্রতি রাতেই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে অশান্তি করত। ১৯ মার্চ রাতেও সে অশান্তি চরমে ওঠে। চিৎকার শুনে সকলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখেন, উমার ঘরে আগুন জ্বলছে।
দরজা ভেঙে ভিতর থেকে উমা ও দেড় বছরের শিশুকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাদেরকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুটির ডান পায়ের কিছুটা অংশ পুড়ে গিয়েছে। প্রায় সাত দিন লড়াই করার পরে রবিবার সকালে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে মারা গেলেন উমা। ঘটনার পরেই উমার পরিবারের তরফে দীপঙ্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার দীপঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।