—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল বহরমপুর আদালত। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহরমপুর দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক এই সাজা শুনিয়েছেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম আরসালিম শেখ। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার কান্দিবাঁধা গ্রামে তাঁর বাড়ি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে আরসালিমের সঙ্গে ময়না বিবির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে ময়নার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা (পণ) আনার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হত। দাবিমতো টাকা এনে দিতে না পারায় তাঁর উপর অত্যাচারের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই ময়না বিবির স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় কয়েক গুনে। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ময়না বিবিকে বেধড়ক মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার বাবা নজরুল শেখ জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন থানায়। বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা রুজু হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন অভিযুক্ত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৪৯৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত। দু’টি পৃথক ধারায় প্রথমটিতে যাবজ্জীবন ও দ্বিতীয়টিতে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা অনাদায় আরও এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলার সরকারি আইনজীবী বারেন রায় বলেন, ‘‘বধূ নির্যাতনের দায়ে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে আসামিকে। তা ছাড়া খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দু’টি সাজাই একসঙ্গে চলবে।’’