নেতাদের দ্বন্দ্বে উদ্বোধন জটে

শাসকদলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। এক দল শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে-র ঘনিষ্ঠ। অন্য দল শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য-পন্থী। অভিযোগ, এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে এলাকার একটি স্কুলে আজিজুল হকের মূর্তি স্থাপনের ঘোষিত কর্মসূচি থমকে গিয়েছে।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:২০
Share:

অপেক্ষায় মূর্তি। নিজস্ব চিত্র

শাসকদলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। এক দল শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে-র ঘনিষ্ঠ। অন্য দল শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য-পন্থী। অভিযোগ, এই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে এলাকার একটি স্কুলে আজিজুল হকের মূর্তি স্থাপনের ঘোষিত কর্মসূচি থমকে গিয়েছে। মূর্তি প্রতিষ্ঠান দিন ঠিক হয়েও বাতিল হয়েছে। গত চার মাস ধরে তা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত। স্কুলের ভিতরে রাজনৈতিক কোন্দলের ছায়া পড়াকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। তবে তৃণমূলের দুই নেতার লড়াইয়ের পরিণতিতে মূর্তি উদ্বোধন আটকে যাওয়ার কথা সরাসরি মানতে চাইছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা দাবি করেছেন, যত দ্রুত সম্ভব মূর্তি বসবে।

Advertisement

শান্তিপুরের কৃতী সন্তান ছিলেন আজিজুল হক। শিক্ষার প্রসারে তাঁর ব্যাপক অবদান ছিল। শান্তিপুরের জুবিলি মাদ্রাসা তাঁর চেষ্টাতেই মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়। সেই স্কুলেই আজিজুল হকের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু তার পর মাস চারেক কেটে গিয়েছে। পুরসভা জুলাই মাস নাগাদ মূর্তি তৈরি করে দেয়।

স্কুল ও রাজনৈতিক সূত্রের খবর, যে সময়ে মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা হয় তখন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ খান। তিনি অজয় দের শিবিরের লোক হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই পরিচালন সমিতি বদলে যায়। গত জুলাই মাসে মহিউদ্দিনের পরিবর্তে সভাপতি হন জীবেন দাস। তিনি আবার বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের শিবিরের লোক হিসাবে পরিচিত। অভিযোগ, অজয় দে এবং অরিন্দম ভট্টাচার্যের ‘মধুর’ সম্পর্কের কথা সুবিদিত। অজয় দে-র ঘনিষ্ঠ স্কুল কর্তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে নারাজ অরিন্দম-ঘনিষ্ঠ স্কুল কর্তা। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। মাস চারেক ধরে সূর্তি স্কুলেই একটি আচ্ছাদনের নীচে পড়ে রয়েছে। ফলকটি মুড়ে রাখা হয়েছে কাপড় দিয়ে। পাতলা কাগজ দিয়ে ঢাকা রয়েছে মূর্তির মুখ।

Advertisement

অজয় দে বলছেন, “শান্তিপুরের বহু মনীষীর মূর্তি পুরসভা তৈরি করে দিয়েছে। মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের আবেদনের ভিত্তিতে তাদের জন্যও আজিজুল হকের মূর্তি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল তা এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। ফেলে রাখা হয়েছে।” তবে স্কুলের পরিচালন সমিতির বর্তমান সভাপতি জীবেন দাসের দাবি, “অন্য কোনও কারণ এর মধ্যে খোঁজা ঠিক নয়। স্কুলে কিছু প্রশাসনিক সমস্যা ছিল, পরীক্ষাও ছিল। তাই মূর্তির উদ্বোধন করা যায়নি। কিছু দিনের মধ্যেই খুব বড় করে অনুষ্ঠান করে মূর্তির উদ্বোধন হবে।” একই কথা বলেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পুষ্পেন্দু মজুমদার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন