শেষ হল অন্তহীন অপেক্ষা

পাক্কা চারটে বছর ধরে ইলশামারির সিকদার পরিবার ও মহখোলার টিকাদার পরিবার আশায় ছিলেন যে, এক দিন ঠিকই ইরাক থেকে বাড়ি ফিরবেন খোকন সিকদার এবং সমর টিকাদার। ২০ মার্চ সে আশায় জল ঢেলে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাজ্যসভায় জানান, ইরাকে অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয় বেঁচে নেই। সেই অপহৃতদের মধ্যে ছিলেন খোকন ও সমর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০০:২৮
Share:

খোকন সিকদার এবং সমর টিকাদার। নিজস্ব চিত্র

ঘর তাঁদের অপেক্ষায় ছিল। অপেক্ষায় ছিল গোটা গাঁ। পাক্কা চারটে বছর ধরে ইলশামারির সিকদার পরিবার ও মহখোলার টিকাদার পরিবার আশায় ছিলেন যে, এক দিন ঠিকই ইরাক থেকে বাড়ি ফিরবেন খোকন সিকদার এবং সমর টিকাদার। ২০ মার্চ সে আশায় জল ঢেলে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ রাজ্যসভায় জানান, ইরাকে অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয় বেঁচে নেই। সেই অপহৃতদের মধ্যে ছিলেন খোকন ও সমর। অবশেষে ইরাকের মসুলে নিহত ৩৯ ভারতীয়ের দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হল সোমবার। অমৃতসর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে এ দিন সন্ধ্যায় দমদমে এসে পৌঁছয় খোকন ও সমরের দেহ।

Advertisement

নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় দমদমে পৌঁছেছে দু’জনের দেহ। রাতে তা রাখা হবে কল্যাণী হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে পৌঁছবে দেহ। দমদম থেকে কফিনবন্দি দেহাবশেষ আনার জন্য দু’টি গাড়ি পাঠানো হয়েছে।

খোকন সিকদারের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সকালে দেহাবশেষ বাড়িতে পৌঁছনোর কথা। কিন্তু তা কোথায় সৎকার করা হবে তা ঠিক হয়নি। ২০১১ সালে খোকন ও সমর দু’জনেই পাড়ি দিয়েছিলেন ইরাকে। খোকন রাজমিস্ত্রি আর সমর কাঠের কাজ করতেন। ইরাকে দু’জনে থাকতেনও একসঙ্গে। ২০১৪ সালের ১২ ও ১৫ জুন ইরাক থেকে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁরা শেষ বার কথা বলেছিলেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন