সিএবি নিয়ে বিভক্ত মতুয়ারা

এই প্রসঙ্গে কার্যত দুই ভাগ হয়ে গিয়েছেন মতুয়ারা। তৃণমূলপন্থী মতুয়াদের অন্যতম নেতা প্রমথরঞ্জন বসু বলছেন, “মতুয়ারা এই বিলকে কোনও ভাবেই সমর্থন করবেন না।

Advertisement

সুস্মিত হালদার

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:০৮
Share:

লোকসভায় বিল পেশ করছেন অমিত শাহ।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) লোকসভায় পাশ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এর ফলে প্রতিবেশী তিন দেশের অ-মুসলিম সংখ্যালঘু শরণার্থীরা দেশের নাগরিকত্ব পাবেন। রেশন কার্ড থাকুক না থাকুক, কোনও সমস্যা নেই। এর পরেই সীমান্তবর্তী জেলা নদিয়ায় এর কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক কোন দিকে ঝুঁকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে কার্যত দুই ভাগ হয়ে গিয়েছেন মতুয়ারা। তৃণমূলপন্থী মতুয়াদের অন্যতম নেতা প্রমথরঞ্জন বসু বলছেন, “মতুয়ারা এই বিলকে কোনও ভাবেই সমর্থন করবেন না। কারণ এতে ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যাবে না। যে সব হিন্দু বাংলাদেশ থেকে আসবে তাঁদেরকেই নাগরিকত্ব দিতে হবে।’’ মতুয়াদের ওই অংশের আরও মত, অনেকে নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে এ দেশে এসে থাকলেও নানা কারণে নথিপত্র জোগাড় করতে পারেননি বা হারিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে তা

হলে কী হবে?

Advertisement

বিজেপিপন্থী মতুয়াদের অন্যতম নেতা মুকুটমনি অধিকারী বলছেন, “তৃণমূল মতুয়াদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। যে দিন রাষ্ট্রপতি বিলে সই করবেন সেই দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সেখানকার যে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে আসবেন তাঁরা সকলেই নাগরিকত্ব পাবেন। শুধু মাত্র ধর্মীয় প্রমাণপত্র দেখাতে পারলেই হবে। আরে সেটা দেওয়ার অধিকার দেওয়া হবে বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন গুলিকে।”

নদিয়া জেলায় কল্যাণী, হরিণঘাটা, চাকদহ, রানাঘাট দক্ষিণ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় মতুয়ারাই ভোটের ফল ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যারা তাঁদের আস্থা জয় করতে পারবে তারাই বাড়তি সুবিধা পাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন