BJP

BJP: শান্তনুর যাত্রায় নেই বিধায়কই, ফাটল প্রকাশ্যে

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু তাঁর সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘জনসম্পর্ক যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েছেন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পুরভোটের আগেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কর্মসূচিকে ঘিরে কল্যাণী শহরে বিজেপির ফাটল স্পষ্ট হল। শান্তনু ঠাকুরের ‘জনসম্পর্ক যাত্রা’ কর্মসূচিতে এলেন না কল্যাণী শহর মণ্ডল বিজেপির একাধিক নেতা। আশপাশের অন্যান্য এলাকার বিধায়কেরা থাকলেও ছিলেন না কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়, কল্যাণী শহর মণ্ডলের সভাপতি বিশ্বরূপ কুলোভির মতো নেতারা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু তাঁর সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ‘জনসম্পর্ক যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে সংযোগের পাশাপাশি এলাকার উন্নতি নিয়েও আলোচনা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই রকমই একটি কর্মসূচির আয়োজন করা হয় কল্যাণী সেন্ট্রা লপার্ক এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় শ্যামাপ্রসাদ ভবনে। সেই উপলক্ষে চড়ুইভাতির আয়োজনও ছিল। তাতে উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল প্রমুখ। সেখানে কল্যাণী কেন্দ্রের কিছু কর্মী-সমর্থক থাকলেও কল্যাণী শহর মণ্ডলের সংগঠনের পদাধিকারীদের একটা বড় অংশই ছিলেন অনুপস্থিত।

বিজেপির একটি অংশের দাবি, সংগঠনকে না জানিয়েই এই ধরনের কর্মসূচি করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, দলের তরফ থেকেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে কল্যাণী শহর মণ্ডলের পদাধিকারীরা কিছুই বলতে চাননি। তবে বিধায়ক অম্বিকা রায় বলেন, "সাংগঠনিক ভাবে এই কর্মসূচি আমার জানা ছিল না। স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার আমাদের কলকাতায় যে প্রতিবাদ কর্মসূচি ছিল, আমি সেখানেই ছিলাম।"

Advertisement

দলীয় একাধিক সূত্রের দাবি, শান্তনুর সঙ্গে অম্বিকা রায়ের দূরত্ব তৈরি হয়েছে সম্প্রতি। মতুয়া এলাকার কয়েক জন বিধায়ক বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন সম্প্রতি। পরে গ্রুপ ছাড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। গ্রুপ ছেড়ে যাওয়া বিধায়কদের তালিকায় ছিলেন অম্বিকাও। পরে তিনি আবার গ্রুপে যোগ দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘টেকনিক্যাল’ ঘটনাটি ঘটেছিল।

এর পর বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে শান্তনু বনগাঁর নিজের বাড়িতে বৈঠকেও বসেন। সেই আলোচনাতেও যাননি অম্বিকা। তার পর থেকেই দু’জনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দলের একটি অংশের দাবি। এ দিনের কর্মসূচিতে বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে শান্তনু বলেন, “কোনও বিতর্কমূলক প্রশ্নে আমি যাব না। কেন নেই, কী নেই, তার জবাব আমি দেব না। সেটা ওঁর কাছে জেনে নিতে হবে, কেন নেই তিনি এখানে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, সব মিলিয়ে বিজেপির মধ্যে কোন্দল বা অনৈক্যের চেহারা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে কল্যাণী পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের থেকে মাত্র ২১১০ ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সামনে পুর নির্বাচন। সব দলই ঘুঁটি সাজাচ্ছে। এই অবস্থায় নিজেদের কোন্দল দলের কাল হয়ে দাঁড়াবে না?

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাসের দাবি, “পুর নির্বাচন নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। সংগঠন সংগঠনের জায়গায় আছে।” তবে শান্তনু ঠাকুরের বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন