দিন কয়েক আগেই সামাজিক মাধ্যমে এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনটা চোখে পড়েছে অনেকেরই।
প্রথমে আর পাঁচটা লটারি প্রতিযোগিতার বিজ্ঞাপন ভেবেই খুব একটা উৎসাহিত হননি কেউ। কিন্তু পরে অভ্যাসবশত পুরস্কারের তালিকার দিকে নজর যেতেই কিছুটা অবাকই হয়েছেন।
আর পাঁচটা লটারি প্রতিযোগিতার মতো লাখ টাকা বা টিভি, বাইক, গাড়ির মতো পুরস্কার নয়। পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হচ্ছে বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের বই। বইপ্রেমীদের কাছে যার মূল্য অপরিসীম। অভিনব এই লটারি প্রতিযোগিতাকে ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে শান্তিপুরে। জানা গিয়েছে, সংগৃহীত অর্থ দুঃস্থদের জন্য কাজে লাগানো হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি শান্তিপুরে আয়োজিত হতে চলেছে এক অভিনব লটারি প্রতিযোগিতা। যার পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হবে খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের নানা অমর সৃষ্টি। শান্তিপুরের বাসিন্দা দুই যুবক প্রীতম রায় এবং পলসন ঘোষ এই প্রতিযোগিতার উদ্যোগ করেছেন। শান্তিপুরের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক প্রীতম এবং আইন পড়ুয়া পলসন দু’জনেই শান্তিপুরের দু’টি পৃথক সামাজিক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরাই এই প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা।
১০ ফেব্রুয়ারি শান্তিপুরের চাকফেরা গোস্বামী বাড়িতে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। এক একটি টিকিটের মূল্য ১০ টাকা। মোট টিকিটের সংখ্যা ১০০০। প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার হিসাবে থাকছে একটি অক্সফোর্ড ডিকশনারি। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসাবে থাকছে ইয়ারবুক। তৃতীয় পুরস্কার মধুসূদন দত্তের লেখা ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’। এছাড়াও পুরস্কার তালিকায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান, সঞ্চয়িতা, গোরা, ছিন্নপত্রাবলী, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুলনাচের ইতিকথা, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিশোর রচনাসমগ্র, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রীকান্ত-এর মতো কালজয়ী সাহিত্য সৃষ্টি। থাকছে দশটি সান্ত্বনা পুরস্কারও। এর মধ্যে রয়েছে গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতার মতো নানান বই।
পলসন এবং প্রীতম বলছেন, “আজকের দিনে ব্যস্ততার কারণেই হোক বা অন্য কারণে, বই পড়ার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। তাই এই উদ্যোগ। এখান থেকে সংগৃহীত অর্থ দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য কাজে লাগানো হবে।”