প্রতীকী ছবি।
গরমে পড়ুয়ারা নাকাল হচ্ছে। রমজান মাস চলায় রোজা করছেন অনেক শিক্ষক। দুই দিক মাথায় রেখেই আজ, বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সকালে স্কুল করার নির্দেশ দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। তবে নদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সে পথে হাঁটেনি। তাদের দাবি, বৃষ্টি এসে যাওয়ায় হাওয়া আগের চেয়ে শীতল হয়েছে। সকালে স্কুলের দরকার নেই।
সোমবার পর্যন্ত গরমের ছুটি ছিল স্কুলগুলিতে। সে দিনই মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি দেবাশিস বৈশ্য ১৪ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত সকালে স্কুল বসানোর নির্দেশিকা জারি করেন। এতে খুশি শিক্ষকদের একটা বড় অংশ।
ফরাক্কার মুস্কিনগর প্রাথমিক স্কুলে ৪০৩ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মঙ্গলবার হাজির ছিল ৪৬ জন। প্রধান শিক্ষক ওবাইদুর রহমানের মতে, “সকালের স্কুলে হাজিরা বাড়বে।” রঘুনাথগঞ্জ পূর্ব চক্রের গঙ্গাপ্রসাদ প্রাথমিকের শিক্ষক মহম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, “ছ’জন শিক্ষকই রোজা করে স্কুলে আসছেন। তাঁদেরও কষ্ট কমবে।”
এবিপিটিএ-র জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার বলেন, “রাজ্য সরকারের ঘোষণার অপেক্ষায় বসে না থেকে জেলা বিদ্যালয় সংসদ ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সংসদ সভাপতি জানান, যদি ২৪ জুনের পরেও গরম না কমে তবে সকালে স্কুল বসানোর মেয়াদ বাড়তে পারে।
নদিয়াতেও সকালে স্কুল বসানোর দাবি তুলছেন কিছু অভিভাবক। বেথুয়াডহরি স্টেশনপাড়ার ঝুম্পা সরকারের মেয়ে ঐশিকী ভেড়ামারা প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। তাঁর মতে, “এখনও বেশ গরম। ঝড়বৃষ্টির ফলে লোডশেডিংও হচ্ছে। দুপুরে ক্লাস করা কষ্টের।” কৃষ্ণনগরের বেড়াবেড়িয়া ভূতপাড়া প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস অধিকারী বলেন, “আমরা আগেই বলেছি এপ্রিল থেকে জুন, এই তিন মাস সকালে স্কুল করলে পড়ুয়ারা স্বস্তি পায়।’’
যদিও শিক্ষকদের একাংশ জানান, তাঁদের অনেকেই দূর থেকে আসেন। সকালে স্কুল হলে সমস্যা হয়। নদিয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রমাপ্রসাদ রায়ের মতে, “বর্ষা এসে যাওয়ায় আবহাওয়া ঠান্ডা হয়েছে। যার ফলে গরম অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন আর কষ্ট হওয়ার কথা নয়।”