প্রবীণ বামনেতার জেল হেফাজত

পুরসভা চত্বরে গোলমালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রবীণ বাম ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মানবেন্দ্র দত্ত-সহ মোট পনেরো জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট এগারোটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

পুরসভা চত্বরে গোলমালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রবীণ বাম ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মানবেন্দ্র দত্ত-সহ মোট পনেরো জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান, সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির মোট এগারোটি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এর মধ্যে চারটি ধারাই জামিন অযোগ্য। পুলিশ এ পর্যন্ত মোট ন’জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নবেন্দু মণ্ডল জানান, বিচারক ধৃতদের সোমবার পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

বুধবার সকালে নবদ্বীপ পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল শুরু হয়। পুরসভার অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা সবাই হরিজন সম্প্রদায়ভুক্ত। এ দিন তাঁদের বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। ইট পাটকেল ছোঁড়া, পুরসভার কর্মীদের কাজে বাধাদান, পুরসভার গাড়ি ভাঙচুর হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে আঘাত পান অনেকে। শেষে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ তেড়ে গেলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়। ওই ঘটনায় পুরপ্রধানের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নবদ্বীপ পুরসভার হরিজন মজদুর ইউনিয়নের নেতা মানবেন্দ্র দত্ত-সহ ন’জনকে ধরে।

যদিও সিপিএমের অভিযোগ সদ্য গঠিত পুরবোর্ড ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতেই কৌশল করে দীর্ঘদিনের বাম ট্রেড ইউনিয়ন নেতা মানবেন্দ্র দত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে মানবেন্দ্রবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ হতেই সন্ধ্যায় সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। নেতাদের দাবি, বুধবারের বিক্ষোভ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা যাতে প্রকাশ্যে না চলে আসে, তার জন্যই মানবেন্দ্র দত্তর মতো প্রবীণ বামকর্মীকে মামলায় জড়িয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সিপিএমের নবদ্বীপ লোকাল কমিটির সম্পাদক তথা নবদ্বীপের প্রাক্তন পুরপ্রধান অমরেন্দ্রনাথ বাগচি বলেন, “অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের তরফে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য মানবেন্দ্র দত্তকে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়েছিল। ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়া ৭৪ বছরের মানুষটি এসে মার খেলেন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে জেলে গেলেন। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কী বলব।”

Advertisement

যদিও নবদ্বীপের পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহার দাবি, ‘‘ওই দিন মানবেন্দ্র দত্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা আমাকে খুন করতেই এসেছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন