অমর কাণ্ড

বিশ লাখ দিতে চেয়েছিল অমর

দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছিল লক্ষাধিক টাকার জাল ওষুধ। তার জেরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কল্যাণীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমর রায়কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০১
Share:

দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মিলেছিল লক্ষাধিক টাকার জাল ওষুধ। তার জেরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কল্যাণীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমর রায়কে। তবে, জাল ওষুধ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেট, চিকিৎসকের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া থেকে আয়াদের উপরে গুলি চালানো— ক্রমান্বয়ে বেড়ে ওঠা অমরের ‘কীর্ত্তিকলাপে’ এক সময়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেখভালের দায়িত্ব অমরের কাছ থেকে নিয়ে, দেওয়া হয়েছিল দলের স্থানীয় কর্মী ভোলা পালকে। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে, বাড়ি থেকে ডেকে তাঁকে গুলি করে খুনের চেষ্টাও করে অমরের সাঙ্গোপাঙ্গরা। সোমবার, পুলিশকে ভোলা জানান, তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা ‘নজরানাও’ দিতে চেয়েছিল অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলর।

Advertisement

ভোলার দাবি, ‘সাহস’ পাননি তিনি। আর, সে কারনেই ভোলাকে গুলি করে খুনের হুমকি দিয়েছিল অমর। গত, রবিবার রাতে, তার জেরেই গুলি করা হয় তাঁকে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোলাকে ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিতেই সিঁদুরে মেঘ দেখেছিল অমর। অমরের ছেলেরা ভোলাকে প্রস্তাব দেয় দায়িত্ব পেলেও, তিনি যেন তাদের বেআইনি কারবারে বাধা না দেন। জাল ওষুধের কারবার, অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেট, আয়াদের কাছ থেকে তোলা আদায়— কারবার চালু রাখতেই ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি। বস্তুত, এ ঘটনার পরে অমরের বাড়ি এবং জেএনএম হাসাপাতালের একটি কোয়ার্টার থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement