পঠনে মন বসাতেও ভরসা কন্যাশ্রী

সুতি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ক্লাব। যার সদস্য ৪০ জন কন্যাশ্রী। ব্লকের পিছিয়ে পড়া এলাকায় তারা কাজ করবে। মাস দুই আগে হরিহরপাড়াতেও ৩২ জন কন্যাশ্রীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এমন ক্লাব। সুতির ১০টি গ্রামপঞ্চায়েতের চার জন করে সক্রিয় কন্যাশ্রীদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ‘কন্যাশ্রী যোদ্ধা বাহিনী’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সুতি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

ফাইল চিত্র।

লড়াইয়ে সাফল্য এনে দিয়েছিল যোদ্ধারা। বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধ চলছে। এ বার লক্ষ্য শিক্ষার হার বাড়ানো। আর সেই লক্ষ্যে কন্যাশ্রীদের নিয়ে ক্লাব গড়ল প্রশাসন।

Advertisement

সুতি ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই ক্লাব। যার সদস্য ৪০ জন কন্যাশ্রী। ব্লকের পিছিয়ে পড়া এলাকায় তারা কাজ করবে। মাস দুই আগে হরিহরপাড়াতেও ৩২ জন কন্যাশ্রীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে এমন ক্লাব। সুতির ১০টি গ্রামপঞ্চায়েতের চার জন করে সক্রিয় কন্যাশ্রীদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ‘কন্যাশ্রী যোদ্ধা বাহিনী’। সোমবারও তারা রুকে দিয়ছে তিন-তিনটি
অকাল বিবাহ। তারা তো যথেষ্ট ভাল কাজ করছে। এই অবস্থায় ফের ক্লাব তৈরির দরকার পড়ল কেন?

সুতির বিডিও সন্দীপ ভট্টাচার্যের কথায়, “সুতির বাজিতপুর ও মহেশাইল, এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে শিক্ষার হার যথেষ্ট দুর্বল বলেই সেভাবে সচেতনতা গড়ে তোলা যাচ্ছে না। চার জন কন্যাশ্রী যোদ্ধার পক্ষে সেখানে সেই কাজ করা সহজ হবে না। তাই এই দুই পঞ্চায়েতের ৪০ জন কন্যাশ্রীকে নিয়ে ক্লাব গঠন করা হল।’’ বিডিও জানিয়েছেন, শুধু নাবালিকা বিয়ে বন্ধই নয়, শিশু শ্রমিক, স্কুল ছুট, কিশোরদের মধ্যে নেশার আসক্তি কাটাতে সংঘবদ্ধ ভাবে কাজ করবে তারা। ক্লাবটির রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও করিয়ে দেওয়া হবে। সাধ্য মতো সাহায্যও পাবে তারা।

Advertisement

প্রশাসন জানিয়েছে, সুতির মহেশাইল ও বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দুটিতে শিক্ষার হার এখনও ৫০ শতাংশের নিচে। যা রাজ্য তো বটেই জেলার শিক্ষার হারের থেকে অনেক কম। এ বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে গিয়েছে মহেশাইলের সুশান্তিকা চৌধুরী। তিনিই সদ্য গঠিত কন্যাশ্রী ক্লাবের সভাপতি। তিনি বলছেন, “সুতির অন্য পঞ্চায়েতগুলি শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও, পিছিয়ে রয়েছে আমাদের দুটি পঞ্চায়েত। সচেতনতা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।” গোপালগঞ্জের শ্যামলী খাতুনের বাবা শয্যাশায়ী। মা বিড়ি শ্রমিক। দু’জনেই নিরক্ষর। তাঁদের উৎসাহেই ক্লাবে সামিল তিনি। বলছেন, “দেখুন না, এক বছরের মধ্যেই উন্নতি
চোখে পড়বে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন