আধাসেনায় থাকছে নজর

রাজ্যের আরও দু’টি উপ-নির্বাচন কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদরে পাঁচ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। করিমপুরে এই বিপুল সংখ্যক আধা সেনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

কল্লোল প্রামাণিক

করিমপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৪
Share:

প্রহরায় আধা সেনা। রবিবার করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র

নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে আজ বিধানসভা উপ-নির্বাচন। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানান, ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী থাকছে। তবে ২৬১টি বুথের সব ক’টিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। এর মধ্যে ১০টি বুথে শুধু রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।

Advertisement

রাজ্যের আরও দু’টি উপ-নির্বাচন কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদরে পাঁচ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। করিমপুরে এই বিপুল সংখ্যক আধা সেনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলীয় প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায়ের কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশ চারটি স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে থাকে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জোট নিরপেক্ষতা। সেখানে নির্বাচনে সব জায়গায় একই নিয়ম হওয়া উচিত। বরং অন্য দুই কেন্দ্রের থেকে করিমপুর অনেক শান্ত জায়গা। অথচ এখানে এত বেশি আধা সেনা দেওয়া হল।’’

এর পাল্টা বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, ‘‘এই নির্বাচন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ও জেলা সীমান্ত রয়েছে। অন্য কেন্দ্রগুলি তেমন নয়। আগে এখানে ভোট লুটের ঘটনা ঘটেছে।’’ তাঁর প্রশ্ন, “মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যদি পর্যাপ্ত আধাসেনার ব্যবস্থা করে তা হলে ক্ষতি কী? সকলে যদি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে পারেন তবে তাঁদের এই অভিযোগ কেন?”

Advertisement

আবার বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সিপিএমের গোলাম রাব্বি-র মতে, ‘‘সব ভোটার যাতে নির্বিঘ্নে, সুনিশ্চিত ভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এখানে ভোটের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন দেখার আধাসেনা দিয়ে সত্যিই সেই কাজ হচ্ছে, নাকি সবটা লোক দেখানো।’’

করিমপুরে মোট ১০৬ টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিঙ্গল বুথে দু’জন আধাসেনা কর্মী ও এক জন রাজ্য পুলিশের কর্মী, ডাবল ও ট্রিপল বুথে চার জন আধাসেনা ও দু’জন পুলিশ এবং চার বুথের কেন্দ্রে চার জন আধাসেনা ও চার জন পুলিশ দায়িত্বে থাকবে। বুথের ভিতরে থাকবে আধাসেনা ও পুলিশ থাকবে বুথের বাইরে। কুইক রিঅ্যাকশন টিম ও সেক্টর অফিসারেরা রাস্তায় ঘুরবেন। প্রিসাইডিং অফিসার-সহ প্রতি বুথে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোলিং অফিসার মিলিয়ে মোট চার জন কর্মী থাকবেন। তাঁরা রবিবার সকালেই করিমপুর ডিসিআরসি কেন্দ্র থেকে ইভিএম যন্ত্র ও সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলিতে চলে গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন