Krishnagar Murder Case

কেরোসিন ঢেলে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছিলেন, স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কৃষ্ণনগর আদালত

আদালত সূত্রে খবর, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম বিধান হাজরা। সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক রায়। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা হাজরার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৬:০৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

নিত্যদিন স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি লেগে থাকত। একদিন ঝগড়া করে স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারেন স্বামী। সঙ্গ দিয়েছিলেন শাশুড়ি। ২০১৬ সালে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার ওই ঘটনায় ধৃত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল কৃষ্ণনগর আদালত। মঙ্গলবার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভদীপ রায়। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শাশুড়িও দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে বছর তিনেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম বিধান হাজরা। সোমবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক রায়। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা হাজরার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। এমন অভিযোগের তিন দিন পর অর্থাৎ, ৬ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পূর্ণিমার ভাই। অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করা হয় পূর্ণিমার স্বামী এবং শাশুড়িকে। সাক্ষ্যপ্রমাণ-সহ আদালতে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে মঙ্গলবার রায়দান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, এই সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করেন বিধান। সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি আইনজীবী পরিমল বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য লেগেই থাকত। ঘটনার দিন দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। সেই সময় পূর্ণিমা হাজরার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেন তাঁর শাশুড়ি। আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী বিধান হাজরা। গুরুতর জখম অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পূর্ণিমাকে। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় ওই মহিলার। প্রাথমিক অভিযোগ এর ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯, ৩০৭ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণিমার মৃত্যু হলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২০২৩ সালে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত শাশুড়ির।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement