Migrant Workers of Bengal

চার রাজ্যে কাজে যাওয়া ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে জেলায় ফেরাল কৃষ্ণনগর পুলিশ

ভিন্‌রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসরে নেমেছে তৃণমূল। অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হওয়া বাংলাভাষী শ্রমিকেরা তাঁদের আধার-ভোটার কার্ডের মতো নথি দেখিয়েও ছাড় পাচ্ছেন না!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ২৩:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভিন্‌রাজ্যে কাজে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানার মতো রাজ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বার বিভিন্ন রাজ্যে কাজে যাওয়া ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরাল কৃষ্ণনগর পুলিশ!

Advertisement

ভিন্‌রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসরে নেমেছে তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি। অভিযোগ, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হওয়া বাংলাভাষী শ্রমিকেরা তাঁদের আধার-ভোটার কার্ডের মতো নথি দেখিয়েও ছাড় পাচ্ছেন না! এই পরিস্থিতিতে ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ (পিসিসি) দেখাতে পারলে তবেই মিলছে রেহাই। নয়তো আটক করা হচ্ছে। দিল্লি, ওড়িশায় থাকা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত। সেই আবহে ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র থেকে ১১০ জন পরিযায়ী শ্রমিককে ফিরিয়ে আনল কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) সঞ্জয় মাকোয়ান বলেন, ‘‘বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হলেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য থেকে জেলা পুলিশকে জানানো হয়। কিছু ক্ষেত্রে শ্রমিক পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উভয় ক্ষেত্রেই জেলা পুলিশ তৎক্ষণাৎ সংশ্লিষ্ট রাজ্যের নির্দিষ্ট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।’’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় নথি এবং পুলিশের যাচাইকরণ শংসাপত্র দ্রুত পাঠিয়ে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট পুলিশ জেলায়। কিছু ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত নথি চাওয়া হয়। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে, সেই সব নথিও তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যে পুলিশের কাছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার আর কোনও পরিযায়ী শ্রমিক কোথাও আটকে আছেন কি না সে বিষয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানান সঞ্জয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement