Islampur Mystery Death

প্রেমিককে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে গ্রেফতার প্রেমিকা

একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ির দুই তরুণ ও তরুণীর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের বচসা ও হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। কিছু দিন আগে থানায় মীমাংসাও হয়েছিল এ ব্যাপারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৬
Share:

গ্রেফতার হয়েছেন মৃতের প্রেমিকা। —প্রতীকী চিত্র।

প্রেমিকার বাড়ির সামনে উদ্ধার প্রেমিকের দেহ। মৃতের নাম সুমন সাহা (২২)। খুনের অভিযোগে তাঁর প্রেমিকাকে তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ ওই তরুণীর বাড়ির কাছেই একটি আমবাগানে সুমনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার গোয়াস কলোনি গ্রামের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সুমনের সঙ্গে ওই তরুণীর দু’বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কে আপত্তি ছিল তরুণীর পরিবারের। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে দুই পরিবারের বচসা ও হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। মাস দুয়েক আগে তাঁদের অসম্মতিতে মেয়ের সঙ্গে সুমন দেখা করতে আসায় পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সে বার ইসলামপুর থানায় পুলিশের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে যায়। সুমনের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার একটি মোবাইল কেনেন তিনি। সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজারেই ঘুরছিলেন। এর ঘণ্টা তিনেক পর তরুণীর পরিবার খবর দেয়, সুমন ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ওই তিন ঘণ্টায় কী এমন হল যে, সুমন আত্নহত্যা করবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, সুমনকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি ওই যুবক এবং তরুণীর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার তরুণীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়ির কাছে গিয়েছিলেন যুবক। তার কিছুক্ষণ পরেই খবর পাওয়া যায় যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও যুবকের পরিবার সে কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, সুমনকে মেয়েটির পরিবারের লোকেরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। সুমনের বাবা নয়ন সাহা বলেন, ‘‘মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওদের আপত্তি ছিল। বার বার ছেলেকে ফোন করে শাসাত। সন্ধ্যার সময় মেয়েকে দিয়ে ডাকিয়ে খুন করেছে আমার ছেলেকে।’’

Advertisement

সুমনের মা ডলি সাহার অভিযোগ, ‘‘ওরা যদি খুন না করে, তা হলে মেয়েটির দুই ভাই কী ভাবে আমাদের খবর দিল? মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ের সম্বন্ধ দেখা হয়েছে। তাই আমার ছেলেকে পরিকল্পনা করে ওরা খুন করেছে।’’

যদিও ওই তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তরুণীর কাকা আকাশ মণ্ডল বসলেন, ‘‘দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঠিকই। তবে আমরা এখন অন্য জায়গায় মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছি। এর মধ্যে ছেলেটা মাঝেমধ্যেই বিরক্ত করত আমাদের মেয়েকে। ও এখানে এসে আত্মহত্যা করে বলে শুনেছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমরা কেউ কোনও ভাবে যুক্ত নই।’’

মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। অন্য দিকে, তরুণীর বাবা-মা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন