শাশ্বতী দেবী।
জীবিতকে ২০ বছর আগে মৃত দেখিয়ে ফরাক্কায় জমির রেকর্ড বদলের ঘটনায় নতুন মোড় নিল!
ফরাক্কার অর্জুনপুরের প্রধানের কাছ থেকে নেওয়া শংসাপত্রে শাশ্বতী দাস নামে এক মহিলাকে মৃত দেখিয়ে ১.১৩ একরের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি দু সপ্তাহ আগে ভাগ্নি মৌসুমী রায়ের নামে রেকর্ড করে দিয়েছে ফরাক্কার ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতর। সরাসরি ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক এবং ওই দফতরের এক রাজস্ব আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ওই দুই কর্তা ছাড়াও অর্জুনপুরের প্রধান-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে ফরাক্কা থানার পুলিশ।
এখন যার নামে জমি রেকর্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই মৌসুমী রায় রবিবার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ব্লকেরই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের বিরুদ্ধে। তিনি বলছেন, “জীবনে কখনও ফরাক্কা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে যাইনি। প্রধানের শংসাপত্র-সহ কোনও নথি জমা দিইনি। কোথাও আমার স্বাক্ষর নেই। সম্ভবত ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতেই কেউ আমার নাম ব্যবহার করেছে।’’
তিনি জানান, পুলিশ সমস্ত নথিপত্র সরজমিনে তদন্ত করে দেখুক কে বা কারা ওই ভূয়ো নথি জমা দিয়েছে। এছাড়া কে তাঁর কাছ থেকে ওই শংসাপত্র নিয়েছিল, সেটা পঞ্চায়েত প্রধানই ভাল বলতে পারবেন।
অর্জুনপুরের প্রাক্তন প্রধান কংগ্রেসের বিশাখা মণ্ডল বলছেন, “আমি শাশ্বতী ও তার স্বামীকে ভাল করে চিনি। তারা জীবিত আছেন তাও জানি। প্রতি দিন কত শংসাপত্র দিতে হত, এখন কী আর সে কথা মনে আছে! ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের উচিত ছিল সেই সময়ে বিষয়টি যাচাই করে দেখা।’’ বিএলএলআরও তরুণ কুমার দাস বলছেন, “অফিসের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কিনা তা নথিপত্র দেখলেই বোঝা যাবে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে সমস্ত নথি দেওয়া হবে।”